অনুকূল পরিবেশ, তা স্বত্ত্বেও বাংলায় কেন নয় পোস্ত চাষ!

সব পোস্ত থেকে মাদক তৈরি হয় না। তাহলে কেন বাংলায় পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়া হবে না? মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে পোস্তও (Poppy Seed) সমান প্রিয়। কিন্তু কেন্দ্রের চোখ রাঙানিতে পশ্চিমবঙ্গে পোস্ত চাষের অনুমতি নেই। এবার বিধানসভায় এই নিয়ে সরব হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। শুধু তাই নয়, রাজ্যে পোস্ত চাষের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।

বাঙালির বড় প্রিয় পোস্তর দাম কেজি প্রতি প্রায় দেড় হাজার টাকা। কোভিডের সময় সেই দাম আড়াই হাজার টাকা ছুঁয়েছিল। এর প্রধান কারণ চাষের কড়াকড়ির কারণে চাহিদা তুলনায় পোস্তর জোগান খুবই কম। মাত্র চারটি রাজ্যের পোস্ত চাষ করার অনুমতি আছে।মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন অন্য কয়েকটি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গ পোস্ত চাষ করার অধিকার পাবে না? এই নিয়ে বিরোধী বেঞ্চের দিকেও তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন। মমতা বলেন, আপনারাও তো পোস্ত খান। কেন্দ্রকে এ বিষয়ে আবেদন করুন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পোস্ত চাষের উপরে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আছে। কারণ, পোস্তর মূল ফলটি থেকে আবার মাদক আফিম তৈরি হয়। আবার ফলের আঠালো তরল- ‘ল্যাটেক্স গাম’ বিভিন্ন রকম ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। ক্যানসারের ওষুধ ছাড়াও ব্যথানাশক ওষুধও তৈরি হয় ‘ল্যাটেক্স গাম’ থেকে। আবার সেই তরল দিয়েই তৈরি হয় নানা রকম মারাত্মক মাদক। তবে, ভারতে সব রকমের পোস্ত চাষের অনুমতি নেই। ‘কনসেন্ট্রেটেড পপি স্ট্র’ নামে এক ধরনের পোস্ত থেকে বিশেষ আফিম উৎপাদন করা যায় না। তাই সেই পোস্তই চাষ করতে অনুমতি দেওয়া হয়। আর উৎপাদিত পোস্ত ও ল্যাটেক্স বিক্রি করতে হয় এপ্রিল মাসের মধ্যেই। সেই নিয়ম মেনেই পোস্ত চাষের অনুমতি বাংলাকে দেওয়ার জন্য আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।