উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে বিদ্যুৎ দফতরের সমস্ত ছুটি বাতিল করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে সমস্ত জেলার বিদ্যুতের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাণ্ডবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার জেরে সমস্যায় পড়েন ওই এলাকাগুলির উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। সমস্যার কথা জানিয়ে ফোন আসে “এক ফোনে অভিষেকে”-এ। তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে যোগাযোগ করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে। ব্যাস, চটজলদি সমাধান। অভিষেকের প্রচেষ্টায় এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুর্যোগ বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে ফেরে আলো।

এরপরই আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “গতকাল একটা ঝড়ে পাঁচটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। ১০০টি পোল ভেঙেছে। ৩০০ কর্মী ও আধিকারিকরা মিলে রাত ৩টের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা সব জেলার সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করলাম। এরপর আমরা তৈরি থাকব। ২৮ মার্চ পর্যন্ত দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জানান। আমরা সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করি। তিনিও সারা রাত জেগে খবর নিয়েছেন।”

বিদ্যুতমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ১৫ তারিখ হঠাৎ ঝড়ের তাণ্ডবে ৮টি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক চলছে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এই ঝড়ে ১০০টির মতো বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে। প্রচুর গাছ পড়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি দফতরের ৩০০ কর্মী সারা রাত কাজ করে বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরিয়ে আনেন।জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক কম। মন্ত্রী জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে ঝড় আসে। সাড়ে ৮টার মধ্যে শুরু হয় কাজ। রাত তিনটে অবধি কাজ চলে বলে জানান তিনি।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকের আগে বিদ্যুৎ ভবনে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে সমস্ত জেলার বিদ্যুতের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুরেশ কুমার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার চেয়ারম্যান শান্তনু বসু ও বিদ্যুৎ দফতরের অন্যান্য উচ্চপদস্থ অধিকর্তারা। মন্ত্রী জানান, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার চলাকালীন সমগ্র রাজ্য জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির যে পূর্বাভাস রয়েছে সে বিষয় নিয়ে প্রস্তুত থেকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা বজায় রাখার জন্য দফতরের সমস্ত কর্মীরা যেন সতর্ক থাকেন। একই সঙ্গে আগামী ২৮ এ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের সমস্ত কর্মীদের সব রকমের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, “হঠাৎ যদি কোনও ঝড় আসে তাতে কোনও ক্ষতি হলে যাতে সামলে দেওয়া যায় তাই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

পাশাপাশি তিনি বলেন, দক্ষিণবঙ্গেও দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে। তাই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দফতরের আধিকারিকরা সবসময় আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৮৯০০৭৯৩৫০৩, ৮৯০০৭৯৩৫০৪।

 

 

Previous articleনিয়োগ দু*র্নীতি মামলায় ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা আদালতের  
Next articleদিল্লি ক‍্যাপিটালসে বড় ভূমিকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, কোন কোন দায়িত্বে মহারাজ