জনসংযোগে জোর, মাসে ৩ দিন জেলাভিত্তিক বৈঠক করবেন মমতা

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে(Panchayet Election) পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি(BJP) বিরোধী লড়াইয়ে দলের নীতি ঠিক করার পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যসরকারের উন্নয়নমুলক প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে তুলে ধরার ও ব্যাপক জনসংযোগের। শুধু তাই নয়, এদিনের বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দিলেন মাসে ৩ দিন জেলাভিত্তিক বৈঠক করবেন তিনি। যাতে সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কোনওরকম খামতি না থাকে।

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলাস্তরে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে জনসংযোগকে হতিয়ার করেছে তৃণমূল। তাই জনসংযোগ তো বটেই জেলাভিত্তিক সংগঠনের হাল হকিকত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জেলায় জেলায় পৌছে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সে কথাই জানালেন লোকসভার সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচী নিয়ে আরও কাজ করবে৷ এটার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। নানাবিধ ১১ বছরের কর্মসূচি, সেগুলোকে প্রচারে বেশি করে আনা হবে। জনসংযোগ বাড়াতে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাসে ৩ দিন জেলাভিত্তিক বৈঠক করবেন মমতা।

এদিনের বৈঠকে একাধিক সাংগঠনিক জেলায় দায়িত্বে রদবদল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে নদিয়া, বর্ধমান ও দার্জিলিং জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বে মলয় ঘটক। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাপস রায়কে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে মানস ভুঁইয়া। ফিরহাদ হাকিম দেখবেন হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর। আলিপুর দুয়ার ও জলপাইগুড়ি দেখবেন গোউতম দেব। বীরভূম দেখবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর দেখবেন সাবিনা ইয়াসমিন ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এছাড়া সাগরদিঘির ফলে ধাক্কা খাওয়ার পর তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল মোশারফ হোসেনকে। এই পদে আগে ছিলেন হাজী নুরুল। রাজ্যের শিক্ষা সেলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। এর পাশাপাশি তৃণমূল সূত্রের খবর, দলনেত্রী এদিন জানিয়ে দেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটি জেলায় পৃথক পৃথক কমিটি গড়া হবে।

Previous articleএকশো দিনের কাজ দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল, কুণালের কটাক্ষ ‘পর্যটক এসেছে’
Next articleKMC Update : উন্নয়নমুখী ভারসাম্যের বাজেট পেশ ফিরহাদের !