৭০ ঘণ্টা পর ধর্মঘট প্রত্যাহার উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎকর্মীদের

রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আলোচনায় জানিয়েছেন যে কর্মচারীদের সমস্ত দাবিদাওয়া সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। মন্ত্রীর আশ্বাসের পরেই আমরা আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের ধর্মঘটী বিদ্যুৎকর্মীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরবিন্দ কুমার শর্মার সঙ্গে আলোচনার পর তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন । গত প্রায় ৭০ ঘণ্টা তাঁরা ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলেন।এর আগে ধর্মঘট করার কারণে ১,৩৩২ জনকে ছাঁটাই করে উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড। রবিবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর রাজ্যের বিদ্যুৎ সংযুক্ত সংঘর্ষ সমিতি  জানিয়েছে, রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আলোচনায় জানিয়েছেন যে কর্মচারীদের সমস্ত দাবিদাওয়া সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। মন্ত্রীর আশ্বাসের পরেই আমরা আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

এর আগে অরবিন্দ কুমার শর্মা রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্মীদের কাছে ধর্মঘট তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিদ্যুৎকর্মীরা দ্রুত কাজে ফিরে আসুন এবং ধর্মঘটের কারণে রাজ্যের যেসব অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিষেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে সেইসব অঞ্চলে দ্রুত পরিষেবা চালু করার ব্যবস্থা নিন।তিনি আরও বলেন, ধর্মঘটের কারণে যে ১,৩৩২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে আইনি পথে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

এই প্রসঙ্গে সংঘর্ষ সমিতির আহ্বায়ক শৈলেন্দ্র দুবে জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের দাবি মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস পাওয়ার পরেই কর্মচারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে সরকারকে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এর আগে গত শুক্রবার UPPCL-এর পক্ষ থেকে ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কারণে ১,৩৩২ জন চুক্তিভিত্তিক বিদ্যুৎকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলের ৫৫০ জন, মধ্যাঞ্চলের ৩৪৮ জন, পশ্চিমাঞ্চলের ২৩২ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলের ২০২ জন কর্মচারী আছেন। এছাড়াও সংঘর্ষ সমিতির ১৮ জন পদাধিকারীর বিরুদ্ধেও নোটিশ পাঠানো হয়।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের, UPPCL প্রতিদিন ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।এর আগে সংঘর্ষ সমিতির পক্ষ থেকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখে হওয়া চুক্তি অবিলম্বে রূপায়ণের দাবিতে ১৬ মার্চ মধ্যরাত থেকে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করে। ধর্মঘটের ঘোষণার পরে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পক্ষ থেকে ২২ জন ইউনিয়ন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং এসেন্সিয়াল সার্ভিস মেইন্টেনেন্স অ্যাক্ট  অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

 

 

Previous articleকবে থেকে চালু স্কুল, ক*ড়া নোটিশ CBSE-এর
Next articleঅবসরের বয়স বাড়ল পুরকর্মীদের ! খুশির হাওয়া পুরসভায়