অভিমান গলে জল! বগটুইয়ের নিহ*তদের পরিবারের ভরসা মুখ‍্যমন্ত্রীর উপরই

অভিমান ছিল। কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তার সুযোগ নিয়ে শহিদ পরিবারের অনুভূতি নিয়ে জলঘোলা করেছে বিজেপি। পাশে ছিল বামেরাও।কিন্তু বিরোধীদের সেই প্রচেষ্টায় কার্যত জল ঢেলে দেন রামপুরহাট এক ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। আশিস বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়কে দেখা করতে বাধা দেন স্বজন হারানো পরিবার। তাদের দাবি, আশিস বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। সেই রাগ অভিমান পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। তবে, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, নানুরের কাজল শেখ, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা এবং কোর কমিটির আহ্বায়ক মলয় মুখোপাধ‍্যায় স্বজন হারানো পরিবারের মেজো ভাই বানিরুল শেখের বাড়ি যান। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের এক প্রস্থ কথা হয়। তাঁদের নিহতদের পরিবার জানায় মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

স্বজনহারা পরিবারের দশজনের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে না পাওয়ায় একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সৈয়দ সিরাজ জিম্মি শেখলাল ও নেকলাল শেখকে তৃণমূলের তৈরি শহিদ বেদিতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা পুষ্পস্তবক অপর্ণ করেন। তারপর তাঁদের মঞ্চে নিয়ে যান জিম্মি। মুখ‍্যমন্ত্রী তাঁদের সংবাদ নিয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ-সহ দশজনকে চাকরি, বাড়ি যথেষ্ট করেছেন। উনি কথা দিয়েছিলেন এক বছর পূর্ণ হলে তাদের চাকরির স্থায়ীকরণ করা হবে। সেই কথার উপর আস্থা রাখছে নিহতদের পরিবার।

আশিস বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় বলেন, যেহেতু গোটা বিষয়টি সিবিআই তদন্ত করছিল। আমি বিধায়ক ও বিধান সভার ডেপুটি স্পীকার। সেক্ষেত্রে স্বজন হারা পরিবারের সাথে দেখা করলে তদন্তে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠত।

এদিকে, বগটুইয়ে বাইরে থেকে বাস, মারুতি ভ‍্যানে করে কর্মী সমর্থক নিয়ে এসে ভিড় করে বিজেপি। একইভাবে বামেরাও বহিরাগতদের দিয়ে মিছিল করে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বহিরাগত লোকজনদের বগটুই গ্রামের মানুষ বলে চালিয়ে দেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট এক নং ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, মুখ‍্যমন্ত্রী প্রথমদিন থেকে বগটুইয়ের স্বজনহারাদের পাশে আছেন। বোলপুরে সফরে এসেও মুখ‍্যমন্ত্রী এই স্বজনহারাদের কথা জিজ্ঞেস করেছেন। রাজ‍্য সরকার দশটা চাকরি দিয়েছে। বাড়ি করার টাকা দিয়েছে। দুয়েক জন বাকি আছেন। সেটাও হয়ে যাবে। আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়েছে। জিম্মি বলেন, “শুভেন্দুবাবু একবার বললেন না, কেন্দ্রের কাছ থেকে স্বজন হারা পরিবারের জন‍্য কটা চাকরি বা সুবিধা পাইয়ে দেবেন। মানুষ ঠিকই বুঝতে পারছে।”

আরও পড়ুন- তীব্র ভূমিক*ম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি, প্রভাব অন্যত্রও

 

 

Previous articleতীব্র ভূমিক*ম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি, প্রভাব অন্যত্রও
Next articleআগামিকাল অজিদের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম‍্যাচে নামছে ভারত, সিরিজ জয় লক্ষ‍্য রোহিতদের