বড় স্বস্তি মেহুল চোকসির! রেড কর্ণার নোটিশ সরাল ইন্টারপোল

বড় স্বস্তি পেলেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। পলাতক মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ প্রত্যাহার করে নিল ইন্টারপোল। ফলে এখন অনায়াসে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারবেন হিরে ব্যবসায়ী।ইন্টারপোলের এই সিদ্ধান্তের ফলে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন:আদানি ইস্যুতে সংসদে অভিনব প্রতি*বাদ তৃণমূলের
ইন্টারপোলের দাবি, অ্যান্টিগা থেকে অপহৃত হয়েছেন বলে মেহুল যে দাবি করেছিলেন, তাতে বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়েছিল। তাই এখন সরিয়ে নেওয়া হল। ইন্টারপোলের তরফে বলা হয়েছে, ‘ভারতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মেহুলকে অ্যান্টিগা থেকে ডমিনিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।‘

২০১৮ সালে ভারত থেকে পালিয়ে অ্যান্টিগা ও বারবুডায় আশ্রয় নিয়েছিলেন মেহুল চোকসি। তারপরেই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককর্তা মেহুলের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই ঘাঁটি গেড়েছেন মেহুল চোকসি। এই ঘটনার প্রায় ১০ মাস পরে চোকসিকে লাল তালিকাভুক্ত করে ইন্টারপোল।
কিন্তু ২০২১ সালে মেহুল অভিযোগ করেন, সে বছরের ২৩ মে ভারতীয় গোয়েন্দারা তাঁকে অ্যান্টিগা থেকে অপহরণ করে ডমিনিকা নিয়ে যান। সেখানে তাঁর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়। ডমিনিকার আদালতে পলাতক ব্যবসায়ী মেহুলের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। অসুস্থতার কথা বলে জামিন পান তিনি। এর পরেই অ্যান্টিগা ফেরেন। সেখান থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তোলেন।

মেহুলের দাবি ছিল, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছে, জলের উপর এক নৌকা থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্য নৌকায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করে ডমিনিকায় নিয়ে গিয়ে আদালতে তুলতে ইচ্ছে করে দেরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। মেহুলের বক্তব্য, তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানিয়েছিলেন অ্যান্টিগায় এসে জেরা করতে। তিনি সবরকম সহযোগিতাও করছিলেন বলে দাবি তাঁর। কিন্তু তার পরেও তাঁর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

পলাতক ব্যবসায়ীকে যেন ওয়ান্টেড তালিকা থেকে মুক্তি না দেওয়া হয়, সেই মর্মে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করে সিবিআই। পালটা চোকসির আইনজীবী বলেন, ভারতে নিয়ে গেলে জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর যথাযথ চিকিৎসা হবে না। তাছাড়াও ভারতে চোকসির প্রাণ সংশয় দেখা যাবে বলেই দাবি আইনজীবীদের।
এদিন শুনানির পর ইন্টারপোলের পাঁচ সদস্যের আদালত জানিয়ে দেয়,লাল তালিকা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে চোকসিকে। এহেন সিদ্ধান্তের লাতক ব্যবসায়ীকে ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও ব্যাহত হবে। তবে ইন্টারপোলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেন, “ভারতের সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দুই ভাই ইডি ও সিবিআই। কিন্তু মেহুল চোকসিকে ইন্টারপোলের লাল তালিকায় বহাল রাখতে পারল না তারা।”

 

 

Previous articleপ্রতি লিটারে প্রায় ৬০ টাকা সস্তা সর্ষের তেল !
Next articleভারত-পাক সিরিজ শুরুর জন‍্য এই বিশেষ মানুষের কাছে আবেদন করতে চান আফ্রিদি