বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ সন্তানদের থেকে আজও দূরে..

একটা গোটা দেশের সঙ্গে যুদ্ধ জিতলেও দাম্পত্যে চিড় ধরেছিল অনেক আগেই। রিয়েল লাইফে অভিজ্ঞান এবং ঐশ্বর্যকে কাছে পাওয়ার জন্য স্বামী অনুরূপের থেকেও দূরে সরতে হয়েছে সাগরিকাকে।

একটা বাস্তব ঘটনাকে সিনেমার পর্দায় তুলে ধরা হয়েছিল। তাতেই বেজায় চটেছে নরওয়ে সরকার (Norway Government)। সম্প্রতি এই ছবিটিকে ‘কাল্পনিক’ বলে দাবি করেছিলেন ভারতে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত। তাঁর কথামতো, নরওয়েতে শুধুমাত্র আর্থিক কারণের জন্য কোনও মায়ের থেকে সন্তানকে কেড়ে নেওয়া হয় না । পাল্টা উত্তর দেন সাগরিকা (Sagarika), বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি'(Mrs Chatterjee)। তিনি জানান সিনেমাতে নরওয়ের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে সবটাই সত্যি। সিনেমার গল্প শেষ হয়ে গেছে ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিটে। কিন্তু বাস্তবের লড়াইটা আজও চলছে সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়ের (Sagarika Chatterjee)। যে সন্তানদের কাছে পাওয়ার জন্য লড়াই , আজও সেই সন্তানরা তাঁর থেকে বহু দূরে।

আজ থেকে প্রায় এগারো বছর আগে বাঙালি কন্যা সাগরিকার চক্রবর্তীর সেই জীবন-যুদ্ধ শুরু। তাই নিয়ে এবার সিলভার স্ক্রিনে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’(Mrs Chatterjee v/s Norway। রানি মুখোপাধ্যায় (Rani Mukherjee) এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) অভিনীত ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলিউডের সব তারকা, বাদ যাননি ‘পাঠান’ শাহরুখ খানও। কিন্তু সিনেমাটা গল্প নয় তাই লড়াইটা শেষ হয়নি ‘মা’-এর।

একটা গোটা দেশের সঙ্গে যুদ্ধ জিতলেও দাম্পত্যে চিড় ধরেছিল অনেক আগেই। রিয়েল লাইফে অভিজ্ঞান এবং ঐশ্বর্যকে কাছে পাওয়ার জন্য স্বামী অনুরূপের থেকেও দূরে সরতে হয়েছে সাগরিকাকে। আইনি লড়াই লড়ে সন্তানদের কাছে পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে নিজের সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন অনুরূপ। সিনেমায় যে মারধোর দেখান হয়েছে তা আসল সত্যির থেকে অনেক কম। অনুরূপ নরওয়ে থেকে দেশে ফেরেননি বলে জানান সাগরিকা। ” এরপর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যও আমাকে একটা লড়াই লড়তে হয়েছিল” , বলছেন ‘মিসেস চ্যাটার্জি’। সাগরিকা জানান, তিনি এতদিন নয়ডাতে চাকরি করছিলেন। এবার পুনেতে কাজের জন্য থাকতে হবে তাঁকে। অভিজ্ঞান এবং ঐশ্বর্য বেড়ে উঠছে দাদু-ঠাকুমার কাছেই। পেটের দায়ে আজও সন্তানদের থেকে দূরে থাকতে হয় সাগরিকাকে। তাঁর স্বামী এইসবের কিছুতেই সাগরিকা বা সন্তানদের পাশে নেই। তাই সন্তান ফিরে পাওয়ার লড়াইটা সবাই সিনেপর্দায় দেখলেও, পরবর্তী কঠিন বাস্তবটা সবার অজানাই রয়ে গেল।

 

Previous articleবাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে টানা দুদিন ধর্নায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী, দিন ঘোষণা
Next articleদেশে থাকবে মোট ৫ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক, ফের সংযুক্তিকরণের পথে মোদি সরকার