দেশে থাকবে মোট ৫ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক, ফের সংযুক্তিকরণের পথে মোদি সরকার

দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের মোদি সরকারের(Modi Govt)। তবে সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংযুক্তিকরণকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমানোর পথে হাটছে সরকার। ২০২০ সালে ২৭টি সরকারি ব্যাঙ্কের(Govt Bank) মধ্যে একঝাঁক ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ করে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় ১২টিতে। দ্বিতীয়দফায় এবার সেই সংখ্যা নেমে আসতে চলেছে পাঁচে। এর আগে এই সংযুক্তিকরণের জেরে ইতিহাসের পাতায় চলে গিয়েছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, দেনা ব্যাঙ্ক, কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক, বিজয়া ব্যাঙ্ক, অন্ধ্র ব্যাঙ্কে। দ্বিতীয়দফার সংযুক্তিকরণে এবার একই অবস্থা হতে চলেছে আরও বেশ কিছু ব্যাঙ্কের।

বর্তমানে দেশে রয়েছে ৭ টি রাষ্ট্রায়াত্ত বড় ব্যাঙ্ক এবং তুলনামকুলক ৫ টি ছোট ব্যাঙ্ক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকতে শীঘ্রই ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে কেন্দ্র। এরপরই হবে চিহ্নিতকরণ, কোন ছোট ব্যাঙ্ককে অধিগ্রহণ করবে কোন বড় ব্যাঙ্ক তৈরি হবে তার তালিকা। যার জেরে নতুন করে ভোগান্তির শিকার হবেন সাধারণ মানুষ। অ্যাকাউন্ট নিয়ে সমস্যা, নতুন কোড, নতুন চেক বই, আরও একবার কেওয়াইসি নিয়ে ঝক্কি, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়া। বন্ধ হয়ে যাবে ছোট ছোট শাখা, সঙ্কটে পড়বে বহু কর্মীর চাকরি।

উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রকের টার্গেট ছিল, ২০২২ সালে তিনটি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেই প্ল্যান সফল হচ্ছে না। তাই আপাতত সেই পথে না হেঁটে ফের সংযুক্তিকরণের ছকেই ফিরছে কেন্দ্র। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি রিসার্চ পেপারে দাবি করা হয়েছে, সংযুক্তিকরণের ফলে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়েছে। ব্যাঙ্ক পরিচালনা এবং কাজের পরিধি বৃদ্ধিও গতি পেয়েছে। আর সর্বোপরি করোনার মন্দা স্বাভাবিকতায় ফেরা অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুনাফা বেড়েছে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের। সবক’টি ব্যাঙ্কের আয়তন এবং শক্তি বাড়লে, একঝাঁক দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন করা যাবে ভারতীয় মুদ্রাতেই। অর্থাৎ ডলার নির্ভরতা কমবে। অর্থাৎ কেন্দ্র দেখাতে চাইছে ব্যাঙ্ক সংযুক্তি আর্থিক দিক থেকে দেশের জন্য লাভজনক। তবে ব্যাঙ্ক সংযুক্তির জেরে মানুষের যে সমস্যা হবে তাকে খুব একটা ।গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্র। সরকারের দাবি কার কোনও ক্ষতি হবে না, সবটা মসৃণ পথ। তবে আসল সত্যিটা হল দেশের আরও ৭ ব্যাঙ্কের দায় ঝেড়ে ফেলতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।

Previous articleবাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ সন্তানদের থেকে আজও দূরে..
Next articleদাম বাড়তে চলেছে কয়লার, বিদ্যুৎ বিল চাপ বাড়াবে মধ্যবিত্তের!