Group D: ১৯১১ চাকরি বাতিলে হলফনামা জমা, শীর্ষ আদালতে অবস্থান স্পষ্ট করল SSC

দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। কিন্তু শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগের উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা বহালই রেখেছিল। শীর্ষ আদালত জানায়, এই মামলা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।

গ্রুপ ডি-র (Group D) শূন্য পদে নিয়োগ মামলায় (Recruitment Case) ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের হলফনামা জমা দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। এদিন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) হলফনামা জমা দিয়ে এসএসসি সাফ জানাল, যে ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত হয়েছিল তা চাকরিহারাদেরই। এখনও পর্যন্ত যে চাকরি বাতিল হয়েছে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়। তবে এদিন কমিশনের তরফে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে সেখানে যুক্তি দেখিয়ে কমিশন জানায়, চাকরিহারাদেরই এই বিকৃত ওএমআর শিট। তবে এই ওএমআর শিট কীভাবে বিকৃত হল তা এদিন জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, বুধবার আদালতে চাকরিহারাদের আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, ওএমআর যদি সত্যিই নষ্ট করা হয়ে থাকে, তাহলে সিবিআই কোথা থেকে বিকৃত ওএমআর পেশ করল? কমিশনের দাবি, ওএমআর নষ্ট করার আগে সব ওএমআর স্ক্যান করে তার প্রতিলিপি বা মিরর ইমেজ করে রাখা হয়। আর সিবিআই-এর দেওয়া ওএমআর-এর স্ক্যান করা কপি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেনি কমিশন। তদন্তে আগেই জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের সংস্থা নায়সা-কে দিয়ে ওএমআর-এর মূল্যায়ণ করা হয়েছিল। সেই সংস্থার অফিস রয়েছে গাজিয়াবাদে। সেই অফিস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

দিন কয়েক আগেই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেয়নি। কিন্তু শূন্যপদে নতুন করে নিয়োগের উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা বহালই রেখেছিল। শীর্ষ আদালত জানায়, এই মামলা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ (Interim Stay Order) দেয়। আসলে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিংয়ের (Counselling) প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেটা শেষ হয়ে প্রার্থী বাছাই হয়ে গেলে মামলায় জটিলতা বাড়তে পারে। সেকারণেই এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশের অর্থ হল আপাতত ১৯১১টি শূন্যপদে নতুন নিয়োগ করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এরপরই এসএসসিকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই নির্দেশ মেনেই বুধবার হলফনামা জমা দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।

চলতি মাসের ১০ তারিখ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে গ্রুপ ডি’তে ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়। চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১,৯১১ জনের জায়গায় ওয়েটিং লিস্ট থেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে কমিশনকে। এরপর গত ১৬ তারিখ ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীকে বেতনের টাকা ফেরাতে হবে না বলে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের বাকি নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)।

 

 

Previous articleতামিলনাড়ুর বাজি কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে মৃত অন্তত ৭
Next articleএবারের আইপিএলে নেই বেয়ারস্টো, কবে ফিরতে পারবেন ২২ গজে!