ইডির দফতর থেকে বেরিয়েই দৌড়! পেছনে একদল সাংবাদিক, রাতের সল্টলেকে নাটকীয় কাণ্ড

ইডির দফতর থেকে বেরোতেই সল্টলেকের রাস্তায় দৌড় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ।কিন্তু কেন? রাত তখন প্রায় সাড়ে দশটা। ইডির দফতর থেকে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের একঘেয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চাননি আকাশ। আর তাই সাংবাদিকদের সামনে দিয়েই রুদ্ধশ্বাসে দৌড় লাগান তিনি। তাঁর পেছনে একদল সাংবাদিক। কারও হাতে বুম, কারও বা হাতে ক্যামেরা। যদিও সফল হননি আকাশ। হাঁপিয়ে গিয়ে দৌড় থামাতেই তাঁকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। শুরু হয় একের পর এক প্রশ্ন। উত্তরে কী বলেন তিনি?

আরও পড়ুন:গরু পাচার মামলার তদন্তে নয়া মোড়! এবার আসানসোল জেল সুপারকে দিল্লিতে তলব ইডির

গত শনিবার হুগলির বলাগড়ের রিসর্টে শান্তনু-‘ঘনিষ্ঠ’ আকাশ, বিশ্বরূপ প্রামাণিক এবং নিলয় মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তাঁদেরকে ফের বুধবার ইডির দফতরে তলব করা হয়। বুধবার বেলা ১২টার পর ইডি দফতরে ঢোকেন আকাশ এবং নিলয়। রাত ১০টার পর তাঁরা সেখান থেকে বের হন। বাইরে বেরিয়েই সংবাদমাধ্যম ঘিরে ধরে তাঁদের। তা এঁড়াতেই দৌড়ে পালাতে চান আকাশ। যদিও শেষমেশ ব্যর্থ হন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তিনি বলেন, “কেন বিরক্ত করছেন, বাড়ি যেতে দিন।”

যদিও জবাব দেন নিলয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “শান্তনুর সঙ্গে কী সম্পর্ক, কী ভাবে পরিচয় হল সেই বিষয়েই জানতে চেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা।” বুধবারও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে আসার পর নিলয় দাবি করেন, এক সময় শান্তনুর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক থাকলেও গত দেড় বছর ধরে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। শান্তনুর কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিলয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার হুগলির বলাগড়ের একটি রিসর্টের মালিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সেখানে যান ইডি আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, খাতায়কলমে ওই রিসর্টের মালিক আকাশ।তবে আদতে তা শান্তনুরই । ইডি আধিকারিকরা শনিবার সকালে বলাগড়ে শান্তনুর ছায়াসঙ্গী হিসাবে পরিচিত সেই আকাশের বাড়িতে যান। আকাশকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নিয়ে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টে যান ইডি আধিকারিকরা। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এর পর আরও দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সে দিনই ডেকে পাঠায় ইডি। এই দু’জন হলেন নিলয় এবং বিশ্বরূপ। রিসর্টেই তাঁদের শান্তনুর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। ইডি সূত্রের খবর, শান্তনু এক সময় নিলয়ের নামে একটি গাড়ি কিনেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট হৃদ্যতা ছিল।তবে এখন আর তা নেই বলেই দাবি নিলয়ের ।

 

 

Previous articleগরু পাচার মামলার তদন্তে নয়া মোড়! এবার আসানসোল জেল সুপারকে দিল্লিতে তলব ইডির
Next articleফের লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনে হা*মলা খ*লিস্তানিদের! ছুড়ল বোতল,কালি