সা.বধান! গুগল পে ও ফোন পে-এর সাহায্যে প্রতরণা! কী করবেন বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ

মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার নাম করে ফোন। আর সেই ফোনেই প্রতারণার ফাঁদ। কেওয়াসি(KYC) আপডেটের নামে অ্যাপ ইনস্টল করতে ফোন, আর তাতেই প্রতারণা। আধার, প্যান নম্বর জানতে চেয়ে ব্যাঙ্ক থেকে আচমকা ফোন। নাহলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের হুমকি। পড়িমড়ি করে আপনার ব্যাঙ্ক ডিটেইলস নিয়ে প্রতারণার শিকার আপনি।

আরও পড়ুন:কোভিড যোদ্ধার বেশে ৭ জামতাড়া গ্যাঙের সদস্য ধরল কলকাতা পুলিশ
পরপর এই ঘটনা কিন্তু কোনও কল্পগল্প নয়। পুরোটাই কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের নয়া কৌশল। আমার-আপনার আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড নম্বর দিয়ে তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট। আর সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে জালিয়াতির টাকা লেনদেনে। মূল অপরাধীরা থাকছে অধরা। হেনস্থার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আপনিও যাতে প্রতারকদের ফাঁদে পা না ফেলেন তাই আগে থেকেই জেনে নিন কী করে আপনাকে ফাঁদে ফেলতে ওঁত পেতে বসে আছে এই জামতাড়া গ্যাং।

কী ভাবে হচ্ছে প্রতারণা?
গোটা দেশে অনলাইন প্রতারণার সবচেয়ে বড় হাব এখন জামতাড়া। গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক নতুন নতুন কৌশল আমদানি করে চলছে প্রতারণা। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রসারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের আপডেট করেছে প্রতারকরাও। নিজেদের চিরপরিচিত স্ট্র্যাটেজি বদলে নয়া কৌশলে প্রতারণার ফাঁদ পাচ্ছে জামতাড়া গ্যাং। তদন্তকারীদের মতে, এতদিন ধরে কখনও ওএলএক্সের মতো সেকেন্ড হ্যান্ড ক্রয়-বিক্রিয়ের সাইট, কখনও বিপনন সংস্থার ওয়েবসাইট, কখনও ম্যাজিক পেন, কখনও আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য প্রার্থনার নামে চলছিল প্রতারণা। এবার ঠকবাজদের জালিয়াতির নয়া হাতিয়ার হয়েছে ‘গুগল পে’, ‘ফোন পে’-র মতো ইউপিআই পেমেন্ট নির্ভর অ্যাপগুলি। এই অ্যাপগুলিকে হাতিয়ার করেই সাধারণ মানুষের হেনস্তা করতে শুরু করেছে প্রতারকরা।
‘ভুল করে টাকা পাঠিয়েছি, ফেরত দেবেন প্লিজ’: এই কাকুতিমিনতি দিয়েই শুরু হচ্ছে প্রতারণার ধাপ। এরপর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করলে বলা হচ্ছে, ‘এক বন্ধুকে পাঠাতে গিয়ে আপনার কাছে চলে গিয়েছে। আমি টাকার অ্যামাউন্ট ও টাকা পাঠানোর স্ক্রিনশট আপনাকে পাঠিয়ে দিয়েছি। অনুগ্রহ করে টাকাটা ফেরত দিয়ে দিন।’ এইভাবে টাকা পাঠাতে গিয়েই প্রতাারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

পুলিশের পরামর্শ:
১.এ ধরনের ফোন কল বা মেসেজ এলে কোনওভাবেই অনুরোধকারীকে টাকা পাঠাবেন না। উল্টে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন ।
২. ‘এরকম কোনও টাকা ফেরতের অনুরোধ হলেই অচেনা ব্যক্তিকে নিকটবর্তী থানায় আসতে বলুন। সেখান থেকেই পরিচয়পত্র, টাকা পাঠানোর প্রমাণ দেখিয়ে আপনার থেকে টাকা ফেরত নিতে বলুন।’ কারও কাছে এ ধরনের মেসেজ বা ফোন এলে প্রথমেই এ কাজটি করতে বলেছে পুলিশ।

সাইবার আইন বিশেষজ্ঞের মতামত:
সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, “যদি ভুল করে টাকা চলে গিয়ে থাকে তাহলে দুটো ব্যাপার আছে। আমি দেখতে পাব আমার কাছে ব্যালেন্স ঢুকেছে, বা নোটিফিকেশন আসবে। এই ক্ষেত্রে সাধারণত ফেক নোটিফিকেশনের উপর নির্ভর করে প্রতারকরা। ফেক স্ক্রিনশট, ফেক মেসেজের ব্যবহার করা হয়। ক্ষণিকের মধ্যে মানুষকে টাকা পাঠিয়ে উত্তেজিত করে ভদ্র ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ওই মুহূর্তে কেউ ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টের লেনদেন চেক করছেন না। ভুয়ো মেসেজ বা স্ক্রিনশটের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আরও সাবধানী হতে হবে।”

 

 

Previous articleযুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষায় সহমত মমতা-নবীন, জোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের উপর
Next articleপরীক্ষার্থীদের সুবিদার্থে রবিবারেও অতিরিক্ত মেট্রো