‘‌মৌসুমী কয়াল ছিলেন তাপস মণ্ডলের এজেন্ট’‌, ম্যাজিশিয়ান কুন্তলের মুখে নতুন নাম

মৌসুমী কয়ালের নাম প্রথম রাজ্য–রাজনীতিতে প্রকাশ্যে আসে কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডে প্রতিবাদী হিসাবে। তারপরও নানা প্রতিবাদে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে পড়বে সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ–অর্পিতার গ্রেফতার দিয়ে তালিকার সূত্রপাত হয়েছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে একুশে এসেছে ঠেকেছে।এই আবহে বৃহস্পতিবার ফের বিস্ফোরক দাবি করলেন ধৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। এদিন কুন্তলের মুখে শোনা গেল কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়ালের নাম।পার্থ–অর্পিতা, কুন্তল–তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী, শান্তনু–হৈমন্তী, অয়ন–শ্বেতার পর কুন্তল ঘোষ সামনে নিয়ে এলেন মৌসুমী কয়ালের নাম। একেবারে তাপস মণ্ডলের ‘এজেন্ট’ বলে মৌসুমী কয়ালের নাম নিয়ে এলেন এই দুর্নীতিতে।

মহিষবাথানে তাপসের ট্রেনিং সেন্টারে কাজ করতেন কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী।সাত-আট মাস বেতন না পেয়ে সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। মৌসুমী বলেছিলেন, তাপসকে জেরা করলে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও বড় বড় নাম উঠে আসবে। এ বার সেই মৌসুমীকে সরাসরি তাপসের ‘এজেন্ট’ বলে উল্লেখ করলেন কুন্তল।

ঠিক কী বলেছেন কুন্তল?‌তিনি বলেন, আমি যেটুকু জানতাম, মৌসুমি কয়াল ছিলেন তাপস মণ্ডলের এজেন্ট। কত টাকা তুলেছে জানি না।’ যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তাপস মণ্ডল। যিনি কুন্তলকে ‘ম্যাজিশিয়ান’ বলেও খোঁচা দিয়েছেন। আর সেই ম্যাজিশিয়ানের মন্তব্যে ফের তোলপাড়।

তাপস মণ্ডল গ্রেফতার হতেই মৌসুমী তখন বলেছিলেন, ‘এই গ্রেফতার তো স্বাভাবিক। আমার মতে, আরও আগে ওঁকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল। অনেক বছর দেরি হয়ে গেল। এই রাজ্যে বিএড কলেজগুলিতে কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তাপস মণ্ডল। ওঁকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তবে একা মানিক নন, এই দুর্নীতি কাণ্ডে আরও বড় বড় মাথা আছে। সেটা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। অনেক কথা ওঁর পেটে আছে। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন উনি। আমরা একসঙ্গে অনেকে কাজ ছেড়েছিলাম। কারণ কাজ করিয়ে টাকা দেননি উনি।’‌ দীনদয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রোজেক্টের কাজ করতেন মৌসুমী কয়াল।

মৌসুমী বলেছেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে অনেকে কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম। মানুষ তো দু’টো টাকার জন্য কাজ করেন। কিন্তু যেখানে সময় মতো স্যালারিই দেবে না, সেখানে কাজ করে লাভ কী!’’ এখানেই থামেননি মৌসুমী। যোগ করেছিলেন, ‘‘যাঁদের কাছে কোটি কোটি টাকা আছে, তাঁরা কর্মীদের সামান্য কয়েক হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিতেন না। আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই অফিসে যিনি চা বানাতেন, তাঁকে পর্যন্ত টাকা দেননি। এঁরা এমনই মানুষ।’’

 

 

Previous articleCBI-এর ক্ষমতা ও কাজের সংজ্ঞা নির্ধারণে নয়া আইনের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
Next articleমমতার ধর্নার দিনই ‘গা জোয়ারি’! বঙ্গ বিজেপির পথে নামার সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন