সময় মাত্র ১৫ দিন, কো*ভিডকালে মুক্তিপ্রাপ্তদের আত্ম*সমর্পণের সুপ্রিম নির্দেশ !

বছর তিনেক আগে ২০২০ সালে আচমকা কো*ভিড থাবা বসানোয় জেল থেকে জামিনে (Bail) মুক্তি দিতে হয় একাধিক সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন ব*ন্দিকে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে তাঁদের বাড়ি ফেরানো হয়েছিল।

কো*ভিড ১৯ – এর (COVID-19)দাপাদাপিতে চেনা জীবনযাত্রা বদলে গেছিল। কিন্তু নিউ নরম্যালে আবার পুরনো পদ্ধতি ফিরেছে। পুরোপুরি স্বস্তি না মিললেও বেশ খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছে জীবনধারা। অতিমারী কোভিডের (COVID-19) সময় সংক্রমণ রুখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের (Government of India)তরফ থেকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ছোট, ঘিঞ্জি কারাগারে বন্দিদের বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ। তবে এবার তাঁদের কারাগারে ফেরাতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই মর্মে শুক্রবার এক নির্দেশনামা জারি করে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

বছর তিনেক আগে ২০২০ সালে আচমকা কোভিড থাবা বসানোয় জেল থেকে জামিনে (Bail) মুক্তি দিতে হয় একাধিক সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন বন্দিকে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে তাঁদের বাড়ি ফেরানো হয়েছিল। সংক্রমণ এড়িয়ে বন্দিদের সুরক্ষার জন্য একাধিক উচ্চপদস্থ কমিটির সুপারিশ, পরামর্শ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবার কোভিড পরবর্তী সময়ে আবার তাঁদের কারাগারে ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিচারপতি এমআর শাহ এবং সিটি রবিকুমারের একটি বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, যে বিচারাধীন বন্দিদের কোভিড আবহে জরুরি ভিত্তিতে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পন করতে হবে। তবে কোভিড আবহে যে দোষী সাব্যস্ত এবং বিচারাধীন বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের বেশির ভাগই গুরুতর কোনও অপরাধে জেলবন্দি ছিলেন না। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজ্যের জেল থেকে এই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে আবার চোখ রাঙাচ্ছে কো*ভিড। বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রক সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকায় ফের সতর্কতা জারি করেছে। পাঁচটি পদক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। TTT পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। ‘test, track, treat’- এর মাধ্যমে কোভিডবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শীঘ্রই মহড়া হবে । দেশে কোভিড এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগেই উচ্চ পর্যায়ের মিটিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩০০ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। গত ১৪০ দিনের নিরিখে যা কিনা সর্বোচ্চ। দেশে এখন অ্যাক্টিভ কে্সের সংখ্যা ৭৬০৫। কর্নাটক, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রতে এক জন করে মৃত্যুর খবরও মিলেছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কঠোরভাবে রেসপিরেটরি হাইজিন ও কোভিড বিধি মেনে চলার পাশপাশি মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা, ২ গজের দূরত্ব বজায়ও রাখার কথাও জানান হয়েছে।

 

Previous articleমেসির পাশাপাশি নজির রোনাল্ডোর, ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম‍্যাচে জোড়া রেকর্ড CR7-এর
Next article“উনি কি হরিদাস পাল?” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সুজনের স্ত্রীর চাকরির তদন্ত চান ব্রাত্য