চিটফান্ড সংস্থার নামে কোটি কোটি টাকা প্র.তারণা! অ.ভিযুক্তকে ‘বিরল সাজা’ আদালতের

তদন্তকারী সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বালাসাহেব ‘সাইপ্রসাদ গ্রুপ কোম্পানিজ’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করে এই চিটফান্ডের কারবার শুরু করেন। ওই সংস্থার কর্মীরা গ্রাম এবং শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জানাতেন, তাঁদের সংস্থায় টাকা রাখলে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে আমানত দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

চিটফান্ড (Chit Fund) সংস্থা খুলে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ! মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) অভিযুক্তকে ২৫০ বছরের সাজা শোনাল সেরাজ্যের এক নিম্ন আদালত। এছাড়াও ওই আর্থিক তছরুপকাণ্ডের (Money Laundering) সঙ্গে যুক্ত আরও ৪ জনকে সাজা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের ওই ব্যক্তির নাম বালাসাহেব ভাপকর (Balasaheb Bhapkar)। তবে এতদিন কোনও অপরাধীকে জেলবন্দির নির্দেশ দেশে বিরল বলেই মনে করছেন অনেকে। যাবজ্জীবন এই সাজার বিরুদ্ধে ওই চিটফান্ড মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

তদন্তকারী সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বালাসাহেব ‘সাইপ্রসাদ গ্রুপ কোম্পানিজ’ (Saiprasad Group Companies) নামে একটি সংস্থা তৈরি করে এই চিটফান্ডের কারবার শুরু করেন। ওই সংস্থার কর্মীরা গ্রাম এবং শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জানাতেন, তাঁদের সংস্থায় টাকা রাখলে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে আমানত দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আর এই প্রতিশ্রুতিতে কার্যত গলে গিয়ে বহু মানুষ সেই সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন। আর সেই টাকা দিয়েই সংস্থার একাধিক অনৈতিক কার্যকলাপ চলত। আর বিষয়টি নজরে আসতেই কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির তরফে তা অবিলম্বে বন্ধের জন্য কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। কিন্তু তারপরও বালাসাহেবের ওই কোম্পানি টাকাগুলি অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে থাকেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।

আর সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সুদ বাবদ টাকা না পেয়ে প্রায় ৩০০ জন আমানতকারী পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯ এবং ১২০বি ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তারপরই মূল অভিযুক্তকে চরম সাজা শোনাল আদালত।

 

 

Previous articleইতিহাস গড়লেন চিরাগ-সাত্ত্বিক, সুইস ওপেন ডাবলসে খেতাব জয় ভারতীয় জুটির
Next articleবাম আমলে না হওয়া রাস্তা তৈরি শুরু করল কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত