উত্তর মিলবে দক্ষিণে ! আগামী বছরের মধ্যেই খুলবে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু

বরফে ঢাকা পাহাড়ের বুক চিরে নদীতল থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু এবং আইফেল টাওয়ারের থেকে ৩৫ মিটার বেশি লম্বা সেতু, উত্তর মিলবে দক্ষিণে , কাশ্মীর মিলবে কন্যাকুমারীর সঙ্গে। চন্দ্রভাগা নদীর উপরে তৈরি এই অত্যাশ্চর্য সেতু আগামী বছরেই খুলে যাবে।

আইফেল টাওয়ারের (Eiffel Tower) চেয়েও উঁচু সেতুতে ওঠার জন্য এবার আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) খুব তাড়াতাড়ি আইফেল টাওয়ারের (Eiffel Tower) চেয়েও উঁচু বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতুর (World’s Highest Railway Bridge) উদ্বোধন হতে চলেছে। রেল সূত্রের খবর, এই ‘চেনাব রেলওয়ে ব্রিজ’ (Chenab Railway Bridge) কাটরা এবং বানিহালের মধ্যে সংযোগস্থাপন করবে। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেলওয়ে প্রকল্পের (Udhampur-Srinagar-Baramulla Railway Link ) অন্তর্গত এই ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

বরফে ঢাকা পাহাড়ের বুক চিরে নদীতল থেকে ৩৫৯ মিটার উঁচু এবং আইফেল টাওয়ারের থেকে ৩৫ মিটার বেশি লম্বা সেতু, উত্তর মিলবে দক্ষিণে , কাশ্মীর মিলবে কন্যাকুমারীর সঙ্গে। চন্দ্রভাগা নদীর উপরে তৈরি এই অত্যাশ্চর্য সেতু আগামী বছরেই খুলে যাবে। শনিবার সেতুটি পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। রেলকর্তারা জানিয়েছেন, চেনাব সেতুতে ট্র্যাক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। একবার কাজ সম্পূর্ণ হলে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে যোগাযোগের নতুন পথ খুলে দেবে এই রেল ব্রিজ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমানে সেতুটি ২৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত বায়ুপ্রবাহ সহ্য করতে পারবে। শুধু জম্মু-কাশ্মীর বা দেশের মানুষের কাছে নয়, চেনাব ব্রিজ গোটা দুনিয়ার কাছে বিস্ময়। ২০০৪ সালের অগাস্ট মাসে সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল। পৃথিবীর উচ্চতম রেল ব্রিজে মোট ১৭টি পিলার রয়েছে। চেনাব ব্রিজের গোল্ডেন জয়েন্ট যুক্ত করার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া ও বাতাসের প্রচণ্ড গতিবেগের কারণে রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ফের নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে শুরু হয় কাজ। ইতিমধ্যেই উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা অংশের ৯০ শতাংশ রেল সংযোগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

রেল আধিকারিকরা বলছেন, জম্মু ও কাশ্মীর সংযোগকারী লাইনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত টানেলে এখন প্রায় তৈরি। কাটরা-বানিহাল সেকশনে টানেল সহ মোট ১৬৩.৮৮ কিমি রেলপথ তৈরি হবে , তার মধ্যে ১৬২.৬ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ১১৭.৭ কিলোমিটারের মধ্যে, ৩১.৩ কিলোমিটার ট্র্যাকও প্রায় প্রস্তুত। রেলপথে দিল্লি-কাশ্মীর সংযুক্তিকরণ ভারতীয় রেলের ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক হতে চলেছে যা ২০২৪ থেকেই খুলে যাচ্ছে।

 

Previous articleবিজেপির কাছে কোনও আশা নেই! মুসলিমদের সংরক্ষণ প্রত্যাহারে ক্ষু.ব্ধ ওয়াকফ বোর্ড  
Next articleঅবশেষে আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন ধাওয়ান