তান্ত্রিকের নির্দেশেই তিলজলায় শিশু খু*ন ! সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ

বেনজির! সাত বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের পর খুন করার অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত তিলজলা। অভিযুক্ত অলোক কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের।

কী বলছে অভিযুক্ত? দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও তার স্ত্রীর কোনও সন্তান হয়নি।
নবরাত্রির মধ্যে নরবলি দিলে সন্তানধারণ করবেন স্ত্রী। তান্ত্রিকের আশ্বাস পেয়ে তিলজলাতে শিশুকন্যাকে অপহরণ করে নৃশংসভাবে খুন করে অভিযুক্ত। জেরায় এমনই দাবি করেছে ধৃত।পুলিশ হন্যে হয়ে তান্ত্রিকের খোঁজ শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা অলোক কুমারের ২০১৬ সালে বিয়ে হয়। গেঞ্জি কারখানার কর্মী স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতার তিলজলায় এসে থাকতে শুরু করে। বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও সন্তানের মুখ দেখতে পায়নি ওই দম্পতি। এই কারণে এলাকায় বেশ কয়েকবার কটুক্তির শিকার হতে হয় তাদের। একসময় স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে রটিয়ে দেয় অভিযুক্ত । বিহারে দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্ত্রীকে।
এরপর নিমতলায় তান্ত্রিকের কাছে যায় অলোক কুমার। জেরায় তার দাবি, তান্ত্রিক পরামর্শ দেয় নবরাত্রির মধ্যে বছর সাত-আটেকের কোনও ‘সুলক্ষ্মণযুক্ত’ শিশুকে বলি দিতে পারলে সন্তানের মুখ দেখতে পারবে দম্পতি । তান্ত্রিকের কথামতো  শিশুকন্যার খোঁজ শুরু করে অলোক। বেশ কিছুদিন ধরে তার নজর গিয়ে পড়ে ওপরের ফ্ল্যাটের মৃত শিশুটির উপর। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল সে।
শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেরায় ধৃত যুবক স্বীকার করেছে, খুনের আগে শিশুটিকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহ করে সে। ধৃতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগের পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা করেছে পুলিশ। ধৃতকে সোমবারই আদালতে তুলবে পুলিশ।

সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় ধৃত অলোক কুমার জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তারপর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে। শিশুটিকে ধর্ষণ করার কথাও জানিয়েছে সে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।
শিশুটির শরীরের মাথা, কান সহ একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একইসঙ্গে স্ট্র্যাঙ্গুলেশন মার্কও মিলেছে শরীরে।

 

Previous articleCPM চাকরি চুরির পরই “লোপাট” করত ফাইল! উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
Next articleদিল্লি বিজেপির লিগ্যাল সেলের গুরু দায়িত্বে সুষমা কন্যা!