মহাকাশে মহাসংযোগ! রাতের আকাশে একসঙ্গে ৫ গ্রহ, কখন দেখবেন?

কিন্তু গ্রহদের আলাদা কক্ষপথ, কক্ষপথের গতি, সূর্য থেকে দূরত্ব আলাদা আলাদা হওয়ার কারণে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ঠিক কোন সময়টাতে এরা একই সঙ্গে কাছাকাছি ধরা দেবে সেটা বলা অসম্ভব। কখনও এই সংযোগ হতে ৪০০ বছর পেরিয়ে যায়, তো কখনও আরও বেশি সময় লাগে।

সৌরজগতের (Planet) পাঁচ গ্রহকে এবার পরপর দেখতে পাওয়া যাবে আকাশে। বুধ (Mercury), শুক্র (Venus), মঙ্গল (Mars), বৃহস্পতি (Jupiter) ও ইউরেনাস (Uranas) গ্রহগুলোকে একত্রে ২৫ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহভর দেখা যাবে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার এই দৃশ্য দেখা যাবে আগামী ২৮ মার্চ, মঙ্গলবার। সোমবার ও মঙ্গলবার সূর্যাস্তের পরই চাঁদের পাশাপাশি দেখা যাবে পাঁচ গ্রহকে। তবে মূলত তিনটি গ্রহ—বুধ, শুক্র ও বৃহস্পতিকে খালি চোখে দেখা গেলেও বাকি গ্রহদুটিকে দেখতে হলে দরকার পড়বে শক্তিশালী দূরবীন বা টেলিস্কোপ (Telescope)। সেক্ষেত্রে মঙ্গলকেও ইউরেনাসের (Uranus) থেকে উজ্জ্বল দেখাবে। তবে একসঙ্গে এত গ্রহের সংযোগ প্রায় বিরল ঘটনা বলা চলে।

জানা গিয়েছে, ভারতের যে কোনও জায়গা থেকে দেখা যাবে পাঁচ গ্রহকে। এই মহা সংযোগ সন্ধে সাড়ে ৭টার পর থেকে আকাশে দেখা যাবে। মঙ্গলবার সেটি আরও স্পষ্ট হবে। আকাশে মেঘ না থাকলে এই সংযোগ খালি চোখেই দেখতে পাওয়া যাবে। শুক্র এবং বৃহস্পতি দুটোই অত্যন্ত উজ্জ্বল গ্রহ। তাদের খালি চোখে দেখা যাবে।  বুধ দেখতে সমস্যা হলেও যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন না থাকে তাহলে খালি চোখেই দেখা যাবে। গ্রহগুলিকে আকাশে তারার মতো উজ্জ্বল মনে হবে। সেই সঙ্গে দেখা যাবে চাঁদকেও। কিন্তু গ্রহদের আলাদা কক্ষপথ, কক্ষপথের গতি, সূর্য থেকে দূরত্ব আলাদা আলাদা হওয়ার কারণে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ঠিক কোন সময়টাতে এরা একই সঙ্গে কাছাকাছি ধরা দেবে সেটা বলা অসম্ভব। কখনও এই সংযোগ হতে ৪০০ বছর পেরিয়ে যায়, তো কখনও আরও বেশি সময় লাগে। আর যখন সেই সংযোগ ঘটে সেই সময়টাকেই বিরলতম মুহূর্ত হিসেবে ধরেন বিজ্ঞানীরা। আর পাঁচ গ্রহের একসঙ্গে কাছাকাছি আসা ও একত্রে অবস্থান করাও তেমনই বিরল মহাজাগতিক ঘটনার মধ্যেই পড়ে।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রের (Venus) অবস্থান নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। জ্যোর্তিবিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারির কথা মতোই, গত বৃহস্পতিবার সন্ধে হতেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী একাধিক জায়গা থেকে দেখা গিয়েছে সেই দৃশ্য। সূর্যাস্তের পরই দেখা যায়, একফালি চাঁদের ঠিক নিচে জ্বলজ্বল করছে এক আলোকবিন্দু। ওই উজ্জ্বল আলোকবস্তুটি আসলে শুক্র গ্রহ। এরপরই ধীরে ধীরে চাঁদ ও শুক্রের মধ্যে ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। যার ফলেই তৈরি হয় এই আলো।

 

 

 

 

Previous articleরাষ্ট্রপতিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা মুখ্যমন্ত্রীর: নেতাজি ভবন ঘুরে জোড়াসাঁকোয় দ্রৌপদী, সঙ্গে রাজ্যপাল-মন্ত্রীরা
Next articleরাম-বাম অশুভ আঁতাত হয়েছে, স্বীকার করলেন বিমানও