রাজরাজেশ্বরী মঠের বাসন্তী পুজোয় কুমারী পুজোর আয়োজন

মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ব্রহ্মচারী শচ্চীত স্বরূপ এবং উপপ্রধান পুরোহিত শ্রীধর দ্বিবেদী জানান ভক্তরা জগদম্বার আরাধনা করেন এই ৯ দিন ধরে। "যত বেশি দেবীর আরাধনা করবেন, ততই মায়ের কৃপা লাভ করবেন" বলেই জানান জ্যোতিষ পিঠ পন্ডিত আচার্য রবিশঙ্কর দ্বিবেদী ।

সুমন করাতি, হুগলি

বাসন্তী পুজোতেই (Basanti Puja) দেবী দুর্গার প্রকৃত আবাহন, বাংলার বুকে আজও এই পুজোর রীতি চলে আসছে। পঞ্জিকা মতে আজ অষ্টমী তিথি। বনেদি বাড়ির পাশাপাশি আজ অন্নপূর্ণা মন্দিরেও (Annapurna Puja)পুজোর আয়োজন। তবে হুগলির কোন্নগরের (Konnagar, Hooghly) রাজরাজেশ্বরী মঠে (Raj Rajeswari Math)আজ বিশাল আয়োজন। নবরাত্রি উপলক্ষে শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী (Swami Sworupananda Saraswati)প্রতিষ্ঠিত কোন্নগর রাজরাজেশ্বরী মঠে চলছে অন্নপূর্ণা পুজো। আগামিকাল অর্থাৎ নবমীতে এখানে শ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিথি মেনে প্রতি বছর বাসন্তী পুজো হয় ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও শেষে দশমীতে বিসর্জন। এখানকার পুজোর অন্যতম আকর্ষণ কুমারী পুজো। এইবছর কো*ভিড কাঁটা কাটিয়ে প্রবল ভক্ত সমাগম মন্দিরে।

রাজ রাজেশ্বরী মঠে নিয়ম নীতি মেনে ১১০০টি অখণ্ড প্রদীপ প্রজ্জ্বলন হয়। একটানা নয় দিন এই ঘি-এর প্রদীপ জ্বলবে। আজ অষ্টমীতে মন্দিরে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। রাজরাজেশ্বরী দেবীকে নব দুর্গা রূপে পুজো করা হয়। নবমীর দিন অর্থাৎ আগামিকাল মাকে সাজানো হবে ভগবান রামচন্দ্রের বেশে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ব্রহ্মচারী শচ্চীত স্বরূপ এবং উপপ্রধান পুরোহিত শ্রীধর দ্বিবেদী জানান ভক্তরা জগদম্বার আরাধনা করেন এই ৯ দিন ধরে। “যত বেশি দেবীর আরাধনা করবেন, ততই মায়ের কৃপা লাভ করবেন” বলেই জানান জ্যোতিষ পিঠ পন্ডিত আচার্য রবিশঙ্কর দ্বিবেদী ।

রাজরাজেশ্বরী সেবা মঠের কুমারী পুজোয় সাধারণ ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন তিথি মেনে মন্দিরের পশ্চিম দিকের চাতালে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। দেবীর আধার রূপে কুমারীদের পুজো করার নিয়ম আছে। রীতিনীতি মেনে এই রাজরাজেশ্বরী সেবা মন্দিরের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন ১ জন কুমারকে ও ৯ জন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী বালক ও বালিকাকে কুমার ও কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। দেবীকে কুমারী দুর্গার একটি রূপ হিসেবে ধরা হয়। এই পুজোতে কুমারীকে শাড়ি পরিয়ে, ফুল ও গয়না দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। যেভাবে যে নিয়মে দুর্গাকে পুজো করা হয়, ঠিক সেই সেই রীতি মেনেই কুমারীকেও আরাধনা করা হয়। দেবী দুর্গাকে দেওয়া অর্ঘ্য ও নৈবেদ্য সমর্পিত করা হয় কুমারীর পায়েও।

 

Previous articleশ্যামবাজারে বিজেপির ধরনা মঞ্চে মাছি তাড়াচ্ছেন বঙ্গ নেতারা
Next articleবিজেপি দেশের দুঃশাসন, একজোট হয়ে লড়তে হবে: ধর্নামঞ্চে জোটবার্তা মমতার