আর্জেন্টিনায় উৎসব নিয়ে ‘পাগলামো’ যেন বন্ধ না হয়, চাইছেন স্বয়ং মেসি

গত ডিসেম্বর থেকেই একধরনের স্বপ্নের জগতে বিচরণ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ জয়ের মাঝখানে তিন মাস কেটে যাওয়ার পর পানামা আর কুরাসাওয়ের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ যেন নতুন করেই উল্লাস আর উদ্‌যাপনের উপলক্ষ হয়ে এসেছিল আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের জন্য।শুক্রবার ভোরে বুয়েনস এইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে পানামার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের একধরনের পুনর্মিলনী। খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরাও যোগ দিয়েছিলেন সেই উৎসবে। পুরো বিষয়টিই ছিল খেলার সঙ্গে প্রচুর আনন্দ-উৎসবে ভেসে যাওয়া।

ওই প্রীতি ম্যাচে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবের মধ্যেই মেসি তাঁর কেরিয়ারের ৮০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পানামার বিপক্ষে ম্যাচের পরও উৎসব থামেনি। কোপা লিবার্তোদোরেস প্রতিযোগিতার ড্র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল গোটা বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দল। সেখানে মেসির ভাস্কর্য উন্মোচিত হয়েছে। পেলে, মারাদোনার ভাস্কর্যের পাশে জায়গা পেয়েছে মেসির ভাস্কর্য। মেসিকে ফুটবল–বিশ্বের ‘শাসক’ উপাধিও দেওয়া হয়েছে। এরপরই কুরাসাওয়ের বিপক্ষে মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে সান্তিয়াগো দেল এস্তারোতে আরেক দফা উৎসব। বলা যেতে পারে উৎসব যেন থামছেই না আর্জেন্টিনায়।

মেসি নিজেও পুরো বিষয়টা বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন। মেসি নিজেও চান, এই উৎসব যেন না থামে। ইনস্টাগ্রামে তিনি নিজের শততম গোলের ম্যাচের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আশা করি আমরা সবার সঙ্গে এ ধরনের আরও অনেক আনন্দ-উৎসব ভাগাভাগি করে নেব। এই পাগলামো যেন শেষ না হয়।’মেসির নিজের পারফরম্যান্স যা-ই হোক, পিএসজির দলগত পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে মেসির দল, লিগেও খুব ভালো খেলছে না।

এরই পাশাপাশি, মেসির সঙ্গে পিএসজির নতুন চুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। মরসুম শেষে মেসি যে পিএসজিতে থাকছেন না, সেই কানাঘুষোও চলছে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পরও প্যারিসে মেসি কিছুটা হলেও চাপে ছিলেন। পানামা ও কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ উপলক্ষে আর্জেন্টিনায় ফিরে মেসি কয়েক দিনের জন্য হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ, কোচ লিওনেল স্কালোনি, অন্যান্য কোচিং স্টাফ, সর্বোপরি আর্জেন্টিনার মানুষ…! বিশ্বকাপ জয় অর্থনৈতিকভাবে চাপে থাকা জনগণের জন্য একধরনের সান্ত্বনাও বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। আর এই ‘পাগলামো’ বন্ধ হোক, চান না স্বয়ং মেসি।

 

 

 

Previous articleভয়*ঙ্কর হচ্ছে কো*ভিড ! টিকা নিয়ে নয়া চিন্তাভাবনা WHO-এর
Next articleবিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রুলিং চাইলেন রোহতগি