ডোকলাম ইস্যুতে চিনের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ! ভারতের চিন্তা বাড়ালেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী  

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি এই সংঘাতের নিষ্পত্তির বিষয়ে চিনেরও মতামত পোষণের অধিকার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সাফ জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র ভুটানের হাতেই নেই, আমাদের ৩ দেশকেই সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও জানান, তিন দেশেরই ভাগ সমান। কোনও দেশই এই ইস্যুতে বড় বা ছোট নয়।

ডোকলাম ইস্যুতে (Doklam Issue) এবার ভারত (India) এবং চিনের (China) মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা শুরু করল ভুটান (Bhutan)। তবে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে প্রথমেই ভারতকে বড়সড় চিন্তার মুখে ফেললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে সাফ জানালেন, ডোকলাম ইস্যুতে মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে চিনেরও। তবে ভারতের অভিযোগ, ভুটানের ওই জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে চিন। পাশাপাশি ডোকলাম সমস্যা সমাধানে ভারত-চিন ও ভুটান ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেরও আর্জি জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ডোকলামে ভারত-চিন মুখোমুখি অবস্থানের পর কেটে গিয়েছে ছ’বছর। ইতিমধ্যে ভুটান সীমান্তে জনপদ তৈরি করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মাথাব্যথা বাড়ছে নয়াদিল্লির (New Delhi)। কিন্তু বিষয়টি সামনে আসতেই  ত্রিদেশীয় সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ভারত। কিন্তু এবার  ডোকলাম নিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়ল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি এই সংঘাতের নিষ্পত্তির বিষয়ে চিনেরও মতামত পোষণের অধিকার রয়েছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং (Lotte Shering) সাফ জানিয়েছেন, এই সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র ভুটানের হাতেই নেই, আমাদের ৩ দেশকেই সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও জানান, তিন দেশেরই ভাগ সমান। কোনও দেশই এই ইস্যুতে বড় বা ছোট নয়।

তবে ২০১৯ সালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং যা বলেছিলেন, ত্রিদেশীয় সীমান্তের কাছাকাছি কোনও দেশেরই কিছু করার কথা নয়। তবে ৩ বছরের মধ্যেই তাঁর গলায় শোনা গেল অন্য সুর। তবে কূটনীতিবিদদের মতে, আঞ্চলিক বিবাদে চিনা হস্তক্ষেপকে একপ্রকার বৈধতা দিলেন শেরিং, যা ভবিষ্যতে চিন্তা বাড়াতে পারে ভারতের। ডোকলাম মালভূমি অঞ্চল একেবারে শিলিগুড়ি (Siliguri) করিডোরের একেবারে গা ঘেঁষে অবস্থিত। সঙ্কীর্ণ ওই ভূখণ্ডই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করে রেখেছে। তবে চিনের দাবি, ত্রিদেশীয় সীমান্ত আরও সাত কিলোমিটার দক্ষিণে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। আর সেটা হলে গোটা ডোকলাম মালভূমি আইনত চিনের দখলে চলে যাবে, যা কখনওই মেনে নেবে না ভারত। আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং জানান, আমরা বৈঠকের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু বাকি দুই পক্ষ রাজি হলে আমরা আলোচনায় বসতে পারি।

 

 

 

Previous articleরাজভবনে প্রবেশের ছাড়পত্র পেলেন আমজনতা ! মুখ্যমন্ত্রীকে চাবি হস্তান্তর রাষ্ট্রপতির
Next articleদেউলিয়া সিপিএম! আলিমুদ্দিন নয়, বিধানভবনের উলটো দিক থেকে মিছিল!