বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ও শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে কলকাতার শহিদ মিনার চত্বরে ধর্ণা-আন্দোলন চলছে একশ্রেণীর সরকারি কর্মীদের। এই কর্মীদের একটি বড় অংশই বাম-জমানায় চিরকুটে চাকরি পাওয়া। যাইহোক, গতকাল, বৃহস্পতিবার অরাজনৈতিক সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেইমতো বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজড়োর চেষ্টা করা হয়। কিছু লোকজন হয়েছিল বটে, তবে তাঁদের মধ্যে কতজন সরকারী কর্মী আছেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘আমি আত্মসমর্পণ করব না’: ভিডিও বার্তায় জানালেন অমৃতপাল
আসলে অরাজনৈতিক দাবি করা হলেও এই মঞ্চে উপস্থাপিত হয়েছে বাম-রাম-শ্যামের রামধনু সভা। শহিদ মিনারের মাঠে মঞ্চ গড়ে যৌথমঞ্চের যে সভা হল, তাতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, বিকাশ ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী ভাষণ দিলেন। ছিলেন কংগ্রেসের দু’একজন চুনোপুঁটিও। তবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টাও চলেছে। যেমন মঞ্চে যখন বাম-কংগ্রেস, তখন মঞ্চের নীচে বিজেপি। আবার বাম-কংগ্রেস নেতারা নেমে যেতেই মঞ্চে উঠলেন সেলিম-সুজনরা। সবমিলিয়ে শহিদ মিনারে চৈত্রের গাজন।
এই আবর্তে আবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, শুভেন্দুর ভাষণে আগ্রহ ছিল না সরকারী কর্মচারীদের। তৃণমূল মুখপাত্রের প্রকাশ করা ভিডিওতে স্পষ্ট, শুভেন্দু বক্তব্য শুরু করতেই শহিদ মিনারের জমায়েত ফাঁকা হওয়া শুরু হয়। বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে কারও কোনও আগ্রহ ছিল না, সেটা তাঁদের চোখে মুখেই ধরা পড়ছিল। এরপরই কুণাল শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে বলেন, এটা স্পষ্ট, কেউ পাত্তা দেয় না শুভেন্দুকে। তাঁর কুৎসা-অপপ্রচার থেকেও মানুষ দূরে থাকতে চায়। শুভেন্দুকে নিয়ে মানুষ বিরক্ত।
Is @SuvenduWB addressing the air?
Before the LoP could start speaking, people left the ground. The lack of interest is visible on their faces.Clearly, NOBODY CARES about you or your propaganda! pic.twitter.com/7540a8Ey6v
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 30, 2023