‘মিডলম্যান কুন্তল’, প্রভাবশালীদের ২৬ কোটি পাঠানোর কথা স্বীকার অয়নের!

তবে অয়নের আইনজীবীরা যে কোনও শর্তে মক্কেলের জামিন চাইলেও সেই জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অয়নকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) অয়ন (Ayan Seal) ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করত কুন্তল (Kuntal Ghosh)। এসএসসির (SSC) বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়ে ৪৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। মিডলম্যানের (Middleman) মাধ্যমে এক প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীল। শনিবার আদালতে এমনটাই অভিযোগ করলেন ইডির (Enforcement Directorate) আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন জেরার মুখে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন অয়ন। পাশাপাশি এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ইডির আইনজীবীর মুখে উঠে আসে গরুপাচার প্রসঙ্গও। শনিবার নগর দায়রা আদালতে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়নের জামিনের মামলার শুনানি হয়। তবে এদিন অয়নের আইনজীবীরা যে কোনও শর্তে মক্কেলের জামিন চাইলেও সেই জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অয়নকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এবার জেলে গিয়েই তাঁকে জেরা করতে পারবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

শনিবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারকের কাছে অয়নের জামিনের আবেদন জানান ইডির (Enforcement Directorate) আইনজীবী। যদিও ইডির তরফে সেই আবেদনের বিরোধিতা করে অয়নকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানানো হয়। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অয়ন শীলকে যখন আদালতে পেশ করা হয়েছিল তখনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে দাবি করা হয় তারা নাকি সোনার খনি খুঁজে পেয়েছে। এদিন আদালতের বিচারপতি অয়নের কাছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চান। অয়ন জানান, তিনি বি.কম স্নাতক। তারপরই বিচারপতি অয়নের কাছে জানতে চান, তাঁর পেশা কী? অয়নের উত্তর, ব্যবসা। এরপরই বিচারক জানতে চান কীসের ব্যবসা করেন অয়ন। উত্তরে অয়ন জানান, হোটেলের ব্যবসা, বিল্ডিং ও ডেভেলপারের ব্যবসা করেন তিনি। পাশাপাশি ২০০০ সাল থেকে ব্যবসা করছে বলেও দাবি করে অয়ন।

অন্যদিকে ইডির আইনজীবীর বক্তব্য, আমরা ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পেয়েছি অয়নের। তাতে ৮ কোটি টাকা রয়েছে। ৮টি ফ্ল্যাট, ৫টি গাড়ি, পেট্রোল পাম্প, ভাড়ার হোটেল রয়েছে অয়নের। এই স্ক্যাম এখন দুভাগে বিভক্ত। একটি এসএসসি, অন্য দিকে পুরসভা দুর্নীতি। যারা পরীক্ষায় পাশ করত সেই যোগ্য প্রার্থীকে অযোগ্য করা হত ওএমআর শিটে জালিয়াতি করে। যারা টাকা দিত তাদের ফাঁকা ওএমআর শিট নেওয়া হত। পরে সেটা নিজেরা অফিসে উত্তর বসিয়ে দিত। তবে অয়ন শীলের আইনজীবী এদিন আদালতে তাঁর মক্কলের জামিনের আবেদন করার সময় বলেন, ইডি বলছে, আমার মক্কেলের কাছে নাকি প্রচুর দুর্নীতির টাকা গিয়েছে। উনি ডিরেক্টর ছিলেন একটি সংস্থার। সেই সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়াতে অংশ নেয়।

 

 

 

Previous articleপুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামীর রহস্যমৃ*ত্যু, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে
Next articleএপ্রিলের শুরুতেই ‘একেন থালি’র উদ্বোধনে টিম ‘দ্য একেন’, ‘উটকো’ ঝামেলার ইঙ্গিত অনির্বাণের !