শক্তিগড় থেকে ট্রেনে বরাকর হয়ে ঝাড়খণ্ডে পালায় আ.ততায়ীরা, রাজু খু.নে ভিনরাজ্য যোগ

মোবাইল ফোনের ''টাওয়ার ডাম্প'' প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভিন রাজ্যের সেই গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ড রওনা দিয়েছে পুলিশের টিম।

শিল্পাঞ্চলের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতা রাজু ঝা (Raju Jha) -এত হত্যাকাণ্ড উঁকি মারছে একাধিক প্রশ্ন। রাজনৈতিক নাকি ব্যবসায়িক, ঠিক কোন কারণে খুন হতে হল রাজুকে? এইসব প্রশ্নের মাঝেই পুলিশের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা নিশ্চিত খুনের “সুপারি” দেওয়া হয়েছিল ভিন রাজ্যের শার্প শ্যুটার ও পেশাদার কোনও গ্যাংকে।

“সুপারি”র অগ্রিম বাবদও দেওয়া হয়েছিল ১কোটি টাকা। তবে কে বা কারা এই সুপারি দিয়েছিল সে ব্যাপারটি এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে দুর্গাপুর (Durgapur) থেকেই যে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

মোবাইল ফোনের ”টাওয়ার ডাম্প” প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভিন রাজ্যের সেই গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) রওনা দিয়েছে পুলিশের টিম। তাদের স্কেচ আঁকানোর চেষ্টা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহার (Bihar) এসটিএফকে (STF) ও জানানো হয়েছে গোটা ঘটনা।

এদিকে পুলিশের হাতে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কাঁকসার কাছে দু’টি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল রাজুর খুনিরা। অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই জায়গাতেই খুনের দুন বিকেল পাঁচটা নাগাদ বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে ফোন আসে। সুপারি কিলাররা সেই ফোন ধরে ছিল। একটি নম্বর শার্প শ্যুটার গ্যাংয়ের লোকেদের। এবং দুর্গাপুর থেকেই সেই ফোন এসেছিল। আর যখন ফোন এসেছিল ঠিক ওই সময়েই দুর্গাপুর থেকে রওনা দেন রাজু ও আব্দুল লতিফ (Abdul Latif)। পুলিশের অনুমান, সেই খবর আততায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল রাজুর গাড়িতে থাকা কোনও সঙ্গী।

এরপর রাজু কাঁকসায় পৌঁছনো মাত্রই দু’টি গাড়িতে খুনিরা পিছু নেয়। সুপারি কিলাররা আগে থেকেই ঘটনাস্থল রেইকি করেছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। রাজুর গাড়ি যে শক্তিগড়ে থামবেই, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত ছিল খুনিরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিনা বাধায় খুনের পর শক্তিগড় থেকে ট্রেন ধরে বরাকর যায় সুপারি কিলাররা। সেখান থেকে পালায় ঝাড়খণ্ডে।

 

 

Previous articleথমথমে রিষড়া! মানুষের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে এলাকায় টহল পুলিশের
Next articleএবার সুজন ঘনিষ্ঠ CPM নেতার নাম জড়াল চিরকুটে চাকরি কে*লেঙ্কারিতে! তদন্তের দাবি তৃণমূলের