বালি খাদান থেকে রাজ্যের রাজস্ব একলাফে বাড়ল ৪০০ কোটি টাকা

আয় বাড়াতে নতুন পথ দেখাচ্ছে রাজ্যের নয়া বালি-নীতি। বালি খাদান থেকে রেকর্ড রাজস্ব আদায়ের মুখ দেখল রাজ্য। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে খাদান থেকে বালি তোলা এবং এবং পরিবহন খাতে রয়ালটি ও সেস বাবদ রাজ্য সরকার ৪০০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে বলে রাজ্যের খনিজ সম্পদ উন্নয়ন নিগম সূত্রে জানা গেছে।

নতুন বালি খাদান নীতির রূপায়িত হওয়ার আগে ওই খাতে রাজ্যের বার্ষিক আয় ছিল একশ কোটি টাকা। সরকারের নতুন নীতি অনুযায়ী খাদানের নিলাম ও বালি তোলা ও পরিবহন সংক্রান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে করার পরে এ পর্যন্ত ২৭ লাখের বেশি ই চালান তৈরি করা হয়েছে। রেল এবং সড়কপথে আন্ত:রাজ্য বালি পরিবহনের অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়াও অনলাইনে আনা হয়েছে। বালি খাদান গুলির ওপরে নজরদারি আরও মজবুত হয়েছে। এর ফলে, রাজ্যে অবৈধভাবে বালি পাচার বন্ধ হয়েছে এবং রাজস্ব আদায় বেড়েছে বলে নিগমের সূত্রে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে নতুন বালি খাদান নীতির আওতায় খাদান নিলাম করে আগামী পাঁচ বছরে ১১০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হবে বলে অনুমান রাজ্য সরকারের। যা ওই খাদান গুলি থেকে প্রাপ্য রয়ালিটি সেস ও রাজস্বর থেকে অনেক বেশি। ১১৫৪ হেক্টর এলাকায় বিস্তৃত শতাধিক বালি খাদান নিলাম করার মধ্য দিয়ে এই রাজস্ব আদায় করা হবে বলে রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১ এ ওই নতুন বালি খাদান নীতি কার্যকর করার পরে চারটি পর্যায়ে বালি খাদান গুলি নিলাম করে নতুন মাইন ডেভেলপার ও অপারেটরদের বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন- মিলল না জামিন! ফের জেল হে.ফাজতে শান্তনু, অয়নের বিরুদ্ধে ইডির হাতে বি.স্ফোরক তথ্য

Previous articleউত্তরে ফের একনম্বর ‘উত্তরবঙ্গ সংবাদ’
Next articleহেফাজত থেকে পলাতক দুই জ.ঙ্গি! প্রশ্নের মুখে কাশ্মীর পুলিশ