মিলল না জামিন! ফের জেল হে.ফাজতে শান্তনু, অয়নের বিরুদ্ধে ইডির হাতে বি.স্ফোরক তথ্য

অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর ওএমআর শিট কারচুপি নিয়েও একাধিক তথ্য হাতে উঠে আসছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকদের। এবার প্রকাশ্যে এল আরও তথ্য।

জামিনের (Bail) আবেদন করলেও লাভের লাভ কিছুই হল না। বুধবারও জামিন পেলেন না নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Bandopadhyay)। আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে শান্তনুকে। বুধবারই এই মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshal Court) শান্তনুর কেস ডায়েরি জমা দেয় ইডি। ইডির দাবি, তদন্তে প্রায় ২৫ জন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। কেস ডায়েরি দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময় শান্তনু সাফ জানান এখন শুধু দেখা আর শোনার সময়।

পাশাপাশি এদিন বিচারককে ইডির (Enforcement Directorate) তদন্তকারী আধিকারিকে বলেন, কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নামের তালিকা রয়েছে। তা দেখলেই বোঝা যাবে এই মামলা ভবিষ্যতে কোন দিকে গড়াবে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তাঁরা কখনওই ওই নামগুলি এখনই প্রকাশ্য আদালতে বলতে পারছে না। পাশাপাশি এদিন আদালতে ইডির অভিযোগ, বার্ষিক ৬ লক্ষ টাকা বেতনের কর্মচারীর কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। আদালতে ইডির আইনজীবী শান্তনুকে প্রশ্ন করেন, সরকারি কর্মী হলে ব্যবসা করেন কীভাবে? নামে বেনামে মোট ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই বিষয়েও এদিন শান্তনুকে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এরপরই জেলে গিয়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার আবেদনও জানায় ইডি।

তবে এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময় শান্তনুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ইভান কোম্পানি কার নামে? উত্তরে তিনি জানান আমার ছেলের নামে। পরবর্তীকালে বলব। এখন শুধু দেখা আর শোনার সময়। তবে ওএমআর শিট উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে প্রশ্ন করা হলে শান্তনু তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।

অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের (Ayan Seal) গ্রেফতারির পর ওএমআর (OMR Sheet) শিট কারচুপি নিয়েও একাধিক তথ্য হাতে উঠে আসছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকদের। এবার প্রকাশ্যে এল আরও এক তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রেও অবাধ বিচরণ ছিল অয়নের। অন্তত ১০ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই হুগলির বাসিন্দা। তবে কোনও নিয়োগেই নিয়ম না মেনে শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে সবটুকু হয়েছে বলে খবর। আর এই বিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, অয়নকে টাকা দিলে নাকি চাকরি অবশ্যই পাওয়া যেত। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এভাবেই কমপক্ষে ১০ জনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে খবর। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন হুগলির বাসিন্দা এবং এদের প্রত্যেকেরই চাকরি হয়েছে টাকার বিনিময়ে, এমনটাই দাবি ইডির। তবে শুধু শিক্ষক নিয়োগই নয়, অয়ন বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট বিকৃত করার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও দাবি করেছে ইডি। সব মিলিয়ে প্রায় ১,০০০ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। এদিকে গত শনিবার অয়নকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সময় ইডি চাইলে অয়নকে জেলে গিয়েও জেরা করতে পারবে।

 

 

Previous articleট্রাম্প গ্রে.ফতার হলেও মামলায় হারলেন প*র্নতারকা!লক্ষাধিক ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
Next articleউত্তরে ফের একনম্বর ‘উত্তরবঙ্গ সংবাদ’