দেশে সামগ্রিকভাবে বিদ্যুতে প্রথম বাংলা, শীর্ষস্থানে রাজ্যের ৩ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

এগিয়ে বাংলা। বিভিন্ন প্রকল্পে দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করেছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশের মধ্যে সামগ্রিকভাবে বিদ্যুতে প্রথম বাংলা। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিও দেশের প্রথমসারিতে WBPDCL। PLF ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বাংলার তিনটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
প্রথম- বকেশ্বর
দ্বিতীয়- সাঁওতালডিহ
পঞ্চম- সাগরদিঘি

রাজ্যের এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান কেন্দ্রের এই স্বীকৃতির ফলে WBPDCL বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থানে পৌঁছল। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি অত্যন্ত ভালো কাজ করছে। দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে আসায় আনন্দিত বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। তিনি বলেন, এই সাফল্যে মুখ্যমন্ত্রী খুশি হওয়ায় তাঁরাও গর্বিত।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের নিরিখে দেশের অন্যান্য তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে বক্রেশ্বর। ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে পিএলএফ (মোট উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে গড়ে কতটা ব্যবহার হচ্ছে) প্রায় ৯৩ শতাংশ (PLF- 92.38%)। এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে সাঁওতালডি (PLF-91.37%) ও পঞ্চম স্থানে সাগরদিঘি (PLF-89.39%) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বক্রেশ্বর কেন্দ্র সবাইকে টপকে প্রথম স্থানে উঠে আসায় খুশির হাওয়া আধিকারিক ও কর্মী মহলে। গতবছর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৃতীয় স্থানে ছিল। প্রথম স্থান পেয়েছিল পুরুলিয়ার সাঁওতালডি বিদ্যুৎকেন্দ্র। বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০০০ সাল থেকে উৎপাদন শুরু করে। সেখানে সব ইউনিট মিলিয়ে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি।

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ‘কেন্দ্রীয় ইলেকট্রিসিটি অথরিটি’ দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির ব়্যাঙ্কিং করে বলে জানা যায়। মূলত কোন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বছরে সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে সেই হিসাবেই ব়্যাঙ্কিং হয়ে থাকে। দেশের প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব়্যাঙ্কিং প্রতিবছর প্রকাশিত হয়। WBPDCL গত ২ বছরে ৩৫% বৃদ্ধির পাশাপাশি ৩১.৮৫ বিলিয়ন ইউনিটের রেকর্ড গ্রস জেনারেশন করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে WBPDCL-এর সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স করা হয়েছে। এই কারণে মুনাফা বেড়েছে তিন গুণ। কোলাঘাট এবং ব্যান্ডেলের অন্য দুটি প্ল্যান্টেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে।

Previous articleধর্মঘটের দিন গরহাজিরা, ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষককে শোকজ!
Next articleটিউশন পড়ালে চাকরি খোয়াতে হবে সরকারি শিক্ষকদের, কড়া পদক্ষেপ শিক্ষা দফতরের