নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন! ভাটিন্ডা সেনাছাউনির গু.লিকান্ডে বাড়ছে রহস্য  

ভাটিন্ডার সেনা ঘাঁটিতে মৃ.ত্যু হল আরও এক জওয়ানের। বুধবারই তিনি গুলিতে আহত হন। পরে বৃহস্পতিবার সেনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

ভাটিন্ডার (Bhatinda) সেনা ঘাঁটিতে মৃত্যু হল আরও এক জওয়ানের (Jawan)। বুধবারই তিনি গুলিতে আহত হন। পরে বৃহস্পতিবার সেনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও সেনার দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে বুধবারের গুলিকাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সেনা জওয়ানদের নিরাপত্তা (Security) কোথায়? কী ভাবে বহিরাগত দু’জন সেনাছাউনিতে ঢুকে ৪ জওয়ানকে গুলি করে পালাল? পাঞ্জাবের ভাটিন্ডার সেনাছাউনিতে গুলি চালানোর ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেনাছাউনির নিরাপত্তা নিয়েও।

উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা সেনাছাউনিতে ঘুমন্ত জওয়ানদের উপর গুলি চালানো হয়। ঘটনায় ৪ সেনা জওয়ান নিহত হন। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে ভারতীয় সেনার তরফে ভাটিন্ডা সেনাছাউনিতে একটি নিরাপত্তা অডিট করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, অডিট (Audit) শেষে জেনারেল মনোজ পাণ্ডে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল কোনও সেনা জওয়ান গুলি চালিয়েছেন। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ পোশাক পরে বহিরাগত আততায়ীরা সেনা ছাউনিতে ঢুকেছিল। তারাই এই নারকীয় হত্যালীলা চালিয়েছে। তাণ্ডবলীলা চালিয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যান সেনা ঘাঁটি লাগোয়া জঙ্গলের দিকে। এদিকে সেনার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার বছর ২০-র ওই জওয়ান সেন্ট্রি ডিউটিতে ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনাবশত তাঁর সার্ভিস রাইফেল থেকে আচমকাই গুলি চলে বলে অনুমান।

অন্যদিকে, এফআইআর-এ (FIR) মুখোশ পরিহিত দুই সন্দেহভাজনের কথা উল্লেখ করেছে সেনা। এদের মধ্যে একজনকে ছাউনি সংলগ্ন জঙ্গলের দিকে পালাতে দেখা গিয়েছে। তাঁর কাছে ছিল একটি INSAS অ্যাসল্ট রাইফেল রয়েছে বলেও এফআইআর-এ সেবার তরফে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

Previous articleহঠাৎ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল, কথা বললেন উপাচার্যের সঙ্গে
Next articleনিশীথ-কনভয়কাণ্ডে CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে