যোগী রাজ্যে মধ্যযুগীও ব.র্বরতা, চো.র সন্দেহে অফিসেই পি.টিয়ে খু.ন যুবককে!

শিবমের মৃতদেহ খতিয়ে দেখার তাঁর শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার বিশেষ কোনও চিহ্ন নেই। বরং মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। ঘটনার তদন্ত শুরুর পরেই ওই অফিসের সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়

ডাবল ইঞ্জিন উত্তর প্রদেশে আইনের শাসন একেবারে তলানিতে। যোগী রাজ্যে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এবার এবার যা ঘটল, তা মধ্যযুগীও বর্বরতাকেও হার মানাবে। চুরির অভিযোগে বসের নির্দেশে বেধড়ক মারধর করা হল অফিস ম্যানজারেক। দোষ স্বীকার করানোর জন্য লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মার থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দেওয়া হল। এবং সেই ঘটনা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভাগ করলেন অফিসের আরও কয়েকজন। অবশেষে ওই যুবক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হল একটি সরকারি হাসপাতালের সামনে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। ঘটনায় ওই অফিসের সাতজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, একটি পণ্য পরিবহণ সংস্থায় ম্যানেজারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন ৩২ বছরের শিবম জোহরি। ওই সংস্থায় অন্য এক সংস্থার জিনিস চুরি হয়। একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর শিবমকে ডাকা হয়। চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন তিনি। এরপরই শিবমের হাত-পা বেঁধে শুরু হয় ব্যাপক মারধর। সঙ্গে ইলেকট্রিক শক। মৃত্যু হলে সরকারি হাসপাতালের সামনে শিবমকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই অফিস কর্মীরা। ফোন করে পরিবারকে জানানো হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন শিবম।

এদিকে শিবমের মৃতদেহ খতিয়ে দেখার তাঁর শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার বিশেষ কোনও চিহ্ন নেই। বরং মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। ঘটনার তদন্ত শুরুর পরেই ওই অফিসের সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শিবমের পরিবার জানিয়েছে, অফিসে গিয়ে আর ফেরেনি। বার বার ফোন করা হলেও ধরছিল না। তখন শিবমেরই সহকর্মীদের ফোন করলে তারা জানায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে নাকি মৃত্যু হয়েছে শিবমের। একটি হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁর দেহও উদ্ধার হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বঙ্কিম সুরি নামে এক ব্যবসায়ীর অফিসে কাজ করতেন শিবম। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা। তবে ওই কোম্পানি আরও নানারকম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তদন্ত করে জানা যায়, আগেও ওই অফিসের অনেক কর্মীকেই চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করে তাড়ানো হয়েছিল। অফিসের কর্মী ও শিবমের বসের সঙ্গে কথা বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। সাতজনকে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। আরও জানা যায়, অফিসের বসের নির্দেশেই চোর অপবাদ দিয়ে শিবমকে মারধর করে কয়েকজন কর্মী। অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, শিবমকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারছেন কয়েকজন।

এমন বর্বরচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। একটি টুইটে এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে অখিলেশ যাদবের দল। এমন ঘটনার জন্য সরাসরি যোগী সরকার ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য সুরেশ খন্নাকে পরোক্ষে কাঠগরায় তুলেছে সপা।

আরও পড়ুন:সেন্সর লাগানো উইকেটে লাইট জ্বলে! আইপিএলের এই স্টাম্পস-এর দাম শুনলে অবাক হবেন

 

 

Previous articleসেন্সর লাগানো উইকেটে লাইট জ্বলে! আইপিএলের এই স্টাম্পস-এর দাম শুনলে অবাক হবেন
Next article২০২৪-এর আগে কোনও টাকা দেবে না কেন্দ্র: বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে তোপ দেগে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর