ফের সমলি.ঙ্গের বিয়ের বিরোধিতা কেন্দ্রের! মঙ্গলেই সুপ্রিম শুনানি

কেন্দ্রের মতে, দেশে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির আসল ভিত্তি অনেক গভীরে। হিন্দু ধর্মে তো বটেই, ইসলাম ধর্মেও বিয়ে বলতে দুই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে পবিত্র সম্পর্ককেই মান্যতা দেওয়া হয়। এরপরই কেন্দ্র সাফ জানায়, বৈধ বিয়ে নারী ও পুরুষের মধ্যেই হতে পারে।

ভারতে সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) বৈধ কিনা, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) শুনানি হবে মঙ্গলবার। আর ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালতে আরও একটি হলফনামা দাখিল করল কেন্দ্র (Central Government)। কেন্দ্রের তরফে এদিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ইস্যুগুলি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বোধবুদ্ধির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাই সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চাওয়া পিটিশনগুলি অবিলম্বে খারিজ করুক সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, বিয়ে শুধুমাত্রই একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বহু সমলিঙ্গের যুগল। কিন্তু ফের কেন্দ্র আবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করল। তবে এই প্রথম নয়, আগে থেকেই সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই ইস্যুতে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের মুখ পুড়লেও ফের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের মতে, দেশে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির আসল ভিত্তি অনেক গভীরে। হিন্দু ধর্মে তো বটেই, ইসলাম ধর্মেও বিয়ে বলতে দুই বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মধ্যে পবিত্র সম্পর্ককেই মান্যতা দেওয়া হয়। এরপরই কেন্দ্র সাফ জানায়, বৈধ বিয়ে নারী ও পুরুষের মধ্যেই হতে পারে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি করবেন। সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনি আইনি বৈধতা দেওয়া হোক, এই মর্মে ইতিমধ্যেই ১৫টি পিটিশন (Petition) দাখিল করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীদের যুক্তি, এই বিষয়গুলি এলজিবিটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এই আইনগুলি বৈষম্যমূলক এবং তাদের মর্যাদা এবং গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে৷ আর সেকারণেই তাঁদের দাবিকে গুরুত্বসহকারে মান্যতা দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, সমকামী বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র আগে যে হলফনামা পেশ করে, তাতে বলা হয় যে সমলিঙ্গের সম্পর্কের সঙ্গে ভারতীয় পারিবারিক সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা চলে না। ভারতীয় পরিবারের ধারণা হল স্বামী, স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তান। সমলিঙ্গ বিবাহ এবং অসমলিঙ্গ বিবাহের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। তাই দুটোকে এক ভাবে দেখা উচিত নয়। গত বছরের ২৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দুই সমকামী যুগলের দায়ের করা দু’টি মামলা সম্পর্কে অবহিত হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন সুপ্রিয় চক্রবর্তী এবং অভয় ডাং। বস্তুত, তাঁরাই দেশের প্রথম সমকামী যুবক, যাঁরা বিয়ে করেছেন।  এরপরই এখন বিশেষ বিবাহ আইনের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

 

 

 

Previous articleমন্ত্রিসভার বৈঠকে কো.ভিড সতর্কতা, ফের মাস্ক-স্যানিটাইজারে জোরে মুখ্যমন্ত্রীর
Next article১০৯ দিন পরে জামিন মঞ্জুর সাকেত গোখলের