আতিককে ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছিলেন যোগী, সুপ্রিম কোর্টেও মেলেনি বাড়তি নিরাপত্তা

২৮ মার্চ আতিকের এই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, উত্তরপ্রদেশের বিচারাধীন বন্দি হিসাবে রয়েছেন আতিক। তাঁর সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে সে রাজ্যের প্রশাসনই

যেমনটা আশঙ্কা করে ছিলেন তেমনটাই সত্যি হল। পুলিশি হেফাজতে থেকেও প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল আতিক আহমেদের। বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আইনজীবী মারফৎ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন গ্যাংস্টার আতিক। যদিও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের আওতাধীন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর পুলিশ হেফাজতেই বিশাল বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকা আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় আততায়ীরা। অন্যদিকে, পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় কী করে খুন হলেন দুই হাইপ্রোফাইল অভিযুক্ত, তার তদন্ত দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন বিশাল তিওয়ারি নামের এক আইনজীবী।

<strong>আরও পড়ুন:দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের গ্রে.ফতারের দাবিতে বনধ বালুরঘাটে! ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা

জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন আতিক। তাঁর আর্জি ছিল, “উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে থাকলেও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ খোদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, আতিককে একেবারে ধ্বংস করে দিতে হবে।” এমন মন্তব্যের পর আতিক আবেদন করেন শীর্ষ আদালত। এবার তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


গত, ২৮ মার্চ আতিকের এই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, উত্তরপ্রদেশের বিচারাধীন বন্দি হিসাবে রয়েছেন আতিক। তাঁর সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে সে রাজ্যের প্রশাসনই। এক্ষেত্রে আদালত কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই রায়ের দু’সপ্তাহের মাথায় ১৩ এপ্রিল এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিকের পুত্র আসাদ আহমেদের। ঠিক দু’দিন পর খুন হন আতিকও।

 

 

Previous articleদণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের গ্রে.ফতারের দাবিতে বনধ বালুরঘাটে! ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা
Next articleমাত্র ২২ সেকেন্ডে ৯টি গু.লিতে ঝাঁঝরা আতিক! প্রকাশ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট