রাজধানীর (delhi) বুকে ফের লিভ ইন পার্টনার খুনের ঘটনা। প্রেমিকাকে (Live in Partner) মেরে বোনের সাহায্যে ১২ কিলোমিটার দূরে দেহ লোপাটের অভিযোগ প্রেমিকের (lover) বিরুদ্ধে। ঘটনায় শ্রদ্ধা কাণ্ডের (Shraddha Case) ছায়া দেখছেন নেটিজেনরা ।

মৃতার নাম রোহিনা, তিনি অভিযুক্ত বিনীতের লিভ ইন পার্টনার ছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। আজ থেকে বছর চারেক আগে, রোহিনার সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিনীত। তখন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করেননি। এমনকি চার বছর একসঙ্গে থাকার পরও নিজের গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে চাইছিলেন না অভিযুক্ত। এই নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকতো। সেই বিবাদের জেরেই রোহিনাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠছে মৃতার বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে। তবে এখানেই শেষ নয়। খুনের পর প্রমাণ এবং ডেডবডি লুকোনোর জন্য বিনীত প্রথমে তাঁর এক বন্ধুকে ফোন করে সাহায্য চান। এরপর এই কাজে অভিযুক্তকে সাহায্য করেন তাঁর বোন।

২৫ বছরের এক যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ জাগে পুলিশের। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট বলে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে। কিন্তু খুনিকে সনাক্ত করার সহজ ছিল না। রোহিনা হত্যাকাণ্ডে দিল্লির পুলিশের ৫০ জনের টিম তদন্তে নামে। সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে পুলিশ দেখতে পায়, দুই ব্যক্তি এক মহিলার মৃতদেহ নিয়ে বাইকে যাচ্ছে। দেখা যায় বাইকের পিছনে বিনীতের বোন পারুল রয়েছেন। এরপরই বিনীতের খোঁজ শুরু করে দিল্লি পুলিশ। পারুলকে জেরে পুলিশের সামনে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এরপর অভিযুক্ত বিনীত ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় ফিরেছে দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের স্মৃতি।