পাঞ্জাব-দিল্লি ছেড়ে কেন ডিব্রুগড়ে অমৃতপাল? আঁটসাঁট নিরাপত্তা!   

অমৃতপাল সিং এবং তার সহযোগীদের পাঞ্জাব বা দিল্লির সংশোধনাগারে রাখার পরিবর্তে অসমে স্থানান্তরিত করার অন্যতম কারণ হল পশ্চিম ভারত থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের দূরত্ব।

খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংকে (Amritpal Singh) বন্দি করা হয়েছে ডিব্রুগড় সংশোধনাগারে (Dibrugarh Jail)। আর সেই কারণে পুরো ডিব্রুগড় জুড়ে জারি কড়া নিরাপত্তা। এই সংশোধনগারে আগে থেকেই বন্দি আরও কয়েকজন শীর্ষ খলিস্তানি। ধৃতরা সবাই অমৃতপাল ঘনিষ্ঠ ও ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ সংগঠনের সদস্য বলে খবর। পাশাপাশি ডিব্রুগড় সংশোধনাগার সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। এছাড়া চেকপোস্টগুলিতে অসম পুলিশ কর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) কাছে গ্রেফতার হয় অমৃতপাল সিং। তাকে আসামের ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তিহার বা অন্য কোথাও না পাঠিয়ে খলিস্তানপন্থীদের বন্দি করে কেন ডিব্রুগড়ে পাঠানো হল এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। অমৃতপাল সিং এবং তার সহযোগীদের পাঞ্জাব বা দিল্লির সংশোধনাগারে রাখার পরিবর্তে অসমে স্থানান্তরিত করার অন্যতম কারণ হল পশ্চিম ভারত থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের দূরত্ব। মনে করা হচ্ছে, এই দূরত্বের কারণে ডিব্রুগড়ে কোনওরকম খালিস্তানি বিক্ষোভ হবে না কারণ অসমে খলিস্তানপন্থীদের উপস্থিতি তেমন নেই। আর সেকারণেই তাদের সেখানে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৮৫৯-৬০ সালে নির্মিত ডিব্রুগড় জেলটিকে অসম সহ দেশের সবচেয়ে নিরাপদ সংশোধনাগার বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ডিব্রুগড়ের সংশোধনাগার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীনতম।

তবে বর্তমানে পাঞ্জাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতাদের রাখা হচ্ছে এই সংশোধনাগারে। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা IAS মদতপুষ্ট খলিস্তানিপন্থীরা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেতা জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালেকে গুরু মেনে নিয়ে তার উত্তরসূরী হিসেবে নিজেকে দাবি করেছে অমৃতপাল সিং। তবে ডিব্রুগড় জেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন অমৃতপালের সহযোগীদের যে কক্ষে রাখা হয়েছে সেখানে নিরাপত্তার বেশ কয়েকটি স্তর রয়েছে। ডিব্রুগড় জেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সিআরপিএফ জওয়ানরা সর্বক্ষণ জেল পাহারা দিচ্ছে। অসম পুলিশের কমান্ডোরাও রয়েছেন পাহারায়। ৫৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে জেলের সর্বত্র নজরদারি চলছে। জানা গিয়েছে, এই জেলে কমপক্ষে ৬৮০ জনকে বন্দি রাখার ক্ষমতা আছে। তবে বন্দির সংখ্যা এখন ৪৩০ জনের কম।

 

 

 

Previous articleপদ্মশিবির বুদ্ধিহীন! BJP বিরোধী ঐক্যই লক্ষ্য: মমতার সঙ্গে বৈঠকের আগে জানালেন নীতীশ
Next articleজনসংযোগ যাত্রা: অভিনন্দন মমতার, পাল্টা টুইটে দলনেত্রীকে ধন্যবাদ অভিষেকের