ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র আ.ক্রমণ অভিষেকের, নিশানায় বিজেপি সাংসদ-বিধায়ক

আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে নেতা সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবেন। তাঁকে প্রার্থী করার আবেদন জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই নিজের প্রার্থী নিজে বাছার জন্য আবেদন এবং ভোটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

0
1

‘জনসংযোগ যাত্রা’র দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে এগিয়ে চলেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। বুধবার, কোচবিহার দক্ষিণের সভা থেকে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হন অভিষেক। কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে (Nishith Pramanik) তুলোধোনা করেন তিনি। একই সঙ্গে নিশানা করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে (Nikhilranjan Dey) কেও। একশো দিনের কাজের টাকা না দেওয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার বিষয় সরব হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলার প্রকল্পের টাকাই আটকে রেখেছে কেন্দ্র। রাজ্যের ২ কোটি ৬৫ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পাননি। দেশের মধ্যে একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। আর তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এলাকার বিজেপি সাংসদ রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সংসদে সরব হন না। নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। অথচ সেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফ-ই কোচবিহারে অত্যাচার চালাচ্ছে। আদিবাসী রাজবংশী যুবকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে।

সভা মঞ্চ থেকে কোচবিহার দক্ষিণের BJP বিধায়কের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন অভিষেক। তাঁর কথায়, গেরুয়া উত্তরীয় পরে, গেরুয়া টিকা দিয়ে বিধানসভায় গিয়ে এক মিনিটের মধ্যে হৈ-হট্টগোল করে “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দিয়ে অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান বিধায়ক। “তারপর কলকাতায় ফুর্তি করেন”। এলাকার মানুষের সমস্যার কথা বিধানসভায় পৌঁছন না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে নেতা সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবেন। তাঁকে প্রার্থী করার আবেদন জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই নিজের প্রার্থী নিজে বাছার জন্য আবেদন এবং ভোটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে চলছে জায়গায় জায়গায় ভোটগ্রহণ।