গয়না বন্ধক দিয়ে স্বামীর ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ বিজেপি বিধায়কের স্ত্রীর

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক.ড়া নোটিশ পাঠায়। সেই নোটিশ কোনও এক অজানা কারণে ভাই.রাল হয়ে যায়। বিধায়ক স্বামী ও পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে বুধবারই কৌশিক রায়ের স্ত্রী সটান হাজির হন ব্যাঙ্কে

বিধায়ক স্বামীর সম্মান বাঁচাতে গয়না বন্ধক রাখলেন স্ত্রী। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ময়নাগুড়ি(Moinaguri)। গলা থেকে মঙ্গলসূত্র ও হাত থেকে বালা খুলে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে দেন ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)কৌশিক রায়ের (Koushik Roy) স্ত্রী সোনি রায়। যদিও নিয়ম বহির্ভূত বলে বিজেপি বিধায়কের স্ত্রীর গয়না নিতে অস্বীকার করেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। অগত্যা অন্য এক জায়গায় তাঁর গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা এনে ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করেন বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়ের স্ত্রী। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার জানিয়েছেন, পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ায় কৌশিক রায়ের লোন অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করা হয়েছে।

ঘটনা ঠিক কী? ২০১০ সালে ময়নাগুড়ির চুকানিপাড়া কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড থেকে ২৩ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এলাকার বর্তমান বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। সামান্য সেই ঋণ-এর টাকা শোধ করতে গড়িমসি করছিলেন বিজেপি বিধায়ক। ব্যাঙ্ক থেকে বহুবার তাঁকে লোন পরিশোধের জন্য বলা হলেও, নিজের বিধায়ক হওয়ার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কর্ণপাত করছিলেন না কৌশিকবাবু।

কিছুটা বাধ্য হয়েই গত মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে কড়া নোটিশ পাঠায়। সেই নোটিশ কোনও এক অজানা কারণে ভাইরাল হয়ে যায়। বিধায়ক স্বামী ও পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে বুধবারই কৌশিক রায়ের স্ত্রী সটান হাজির হন ব্যাঙ্কে। এরপর ঋণ শোধ করতে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের হাতে গয়না তুলে দিতে যান তিনি। বলেন, “আমার স্বামীর সম্মান সবচেয়ে বড়। সোনার চেন বেচে দিলে কোনওদিন হয়তো নতুন করে গড়তে পারব। কিন্তু, সম্মান গেলে আর ফিরে আসবে না।” বুধবার দুপুরে স্বামীর সম্মান বাঁচাতে এমন অবস্থায় অস্বস্তিতে পড়ে যান ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নিধির মণ্ডল। তিনি কৌশিকবাবুর স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এভাবে সোনাদানা নিয়ে লোন শোধের নিয়ম নেই। পরে অন্য জায়গা থেকে টাকা এনে লোন পরিশোধ করেন বিজেপি বিধায়কের স্ত্রী। তবে ঋণ খেলাপির নোটিশ ভাইরাল হওয়া নিয়ে ব্যাঙ্কের দিকে আঙুল তোলেন বিজেপি বিধায়কের স্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বলেন, “এক মহিলা আচমকাই ব্যাঙ্কে এসে আমার হাতে কিছু স্বর্ণালঙ্কার ধরিয়ে দিয়ে কৌশিক রায় নামে এক ঋণ খেলাপির সুদসহ আসল টাকা মেটানোর কথা জানান। কিন্তু, এভাবে ঋণ শোধ করা যায় না, সেটা তাঁকে বোঝাই। এরপর তিনি ২০১০ সালে ঋণ নেওয়া ২৩ হাজার টাকার সুদ ও আসলসহ ২৯,৪৭৫ টাকা নগদে মেটান। তাঁর দাবি, তাঁর স্বামী বিজেপি বিধায়ক বলেই ওঁর সম্মানহানির উদ্দেশ্যে নোটিশ ভাইরাল করা হয়েছে। আমাকেই উনি দোষারোপ করেন। তবে নোটিশ ভাইরাল হওয়ার ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই।”

 

Previous articleরামনবমীতে হাওড়া, রিষড়ায় অ*শান্তির তদন্তভার এনআইএ-কে দিল আদালত
Next article৫০০ কোটি টাকা নেওয়ার প্রশ্নেও মুখে কুলুপ কুন্তলের