বন্যা নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের!

হাওড়া-হুগলিকে আলাদা করেছে রূপনারায়ণ। দামোদরের শাখা নদী মুণ্ডেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বরের মিলিত হয়ে রূপনারায়ণ নামে গঙ্গায় মিশেছে।

গরমের মরসুম শেষে বর্ষায় রাজ্য জুড়ে যাতে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) না তৈরি হয় সেইদিকে তাকিয়ে আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। রূপনারায়ণ ও দামোদরের (Rupnarayan and Damodar)জলধারণ ক্ষমতা খতিয়ে দেখার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাংশের বন্যা পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেই লক্ষ্যে সেচ দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি এক দল বিশেষজ্ঞ এই পরিদর্শনের কাজ করছেন। রাজ্য সরকার রূপনারায়ন অ্যান্ড দামোদর মডেল রিসার্চ প্রজেক্টের (Rupnarayan and Damodar Model Research Project)আওতায় এই পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়েছে।

হাওড়া-হুগলিকে আলাদা করেছে রূপনারায়ণ। দামোদরের শাখা নদী মুণ্ডেশ্বরী এবং দ্বারকেশ্বরের মিলিত হয়ে রূপনারায়ণ নামে গঙ্গায় মিশেছে। সেই নদের মাধ্যমেই ডিভিসি’র দূর্গাপুর জলাধার থেকে ছাড়া জলের বড় অংশই নীচে নেমে আসে ও গঙ্গার সঙ্গে মিশে সাগরে গিয়ে পড়ে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেগুয়াহানায় যেখান দামোদর থেকে মুণ্ডেশ্বরী নদীর জন্ম হচ্ছে সেই উৎসমুখ সেভাবে চওড়া ছিল না। ফলে দামোদর দিয়ে বেশি পরিমাণে জল প্রবাহিত হতে গিয়ে তা উপচে গিয়ে হুগলি জেলার আরামবাগ ও হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমা এলাকায় পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা। সেই সমস্যার সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের সেচ দফতর বেগুয়াহানা মুণ্ডেশ্বরী নদীর উৎস মুখ সংস্কারের কাজ শুরু করে। এই দলে আছেন রাজ্যের সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রঘুনাথ চক্রবর্তী, রিভার রিসার্চ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর বিভাস বর্মন, অভিজিৎ রায়, ডব্লুবিএমআইএমপি’র অ্যাডিশনাল প্রজেক্ট ডিরেক্টর নিলয় চৌধুরী, ডেপুটি ডিরেক্টর দিগন্ত মাইতি সহ সেচ দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যেই এই দল হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার শ্যামপুরের গাদিয়াড়া থেকে পরিদর্শনের কাজ শুরু করে শশাটি, ডিহিমণ্ডলঘাট, বাগনানের বাকসিহাট পর্যন্ত পরিদর্শন করে ফেলেছে। পরে মানকুরের সেচ বাংলোয় একটি বৈঠকও করেন তাঁরা। সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, হুড়হুড়া খাল সংস্কারের ফলে বর্ষায় রূপনারায়ণে অনেক বেশি জল আসবে। তাই রূপনারায়ণের বর্তমান অবস্থা কী, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন। এর ভিত্তিতেই রূপনারায়ণের খাত সংস্কার করা হবে, যাতে বর্ষার সময় মানুষ বিপদে না পড়েন। কিন্তু যদি দেখা যায় রূপনারায়ণ বাড়তি জল টানতে পারছে না তখন নতুন করে কোনও খাল কাটতে হবে। দামোদরের ওপর সেভাবে কোনও চাপ যাতে না পড়ে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এগোনো হচ্ছে বলেই খবর।

 

Previous articleবিজেপির দেখানো পথেই হাঁটল কংগ্রেস! কেন্দ্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন গেহলটের
Next articleউপাচার্য নিয়োগের পরে সিনিয়র অধ্যাপকদের নাম চাইলেন রাজ্যপাল, ফের সংঘাতের সম্ভাবনা