বিজেপির দেখানো পথেই হাঁটল কংগ্রেস! কেন্দ্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন গেহলটের

গেরুয়া শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রের উন্নয়ন যজ্ঞে এভাবেই সামিল হতে চাইছে দেউলিয়া কংগ্রেস। তবে বিজেপির কোনও আপত্তিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না হাত শিবির।

মোদি সরকারের যুক্তিকে কার্যত থোড়াই কেয়ার। আর সেই পথেই হেঁটে এবার উজ্জ্বলা যোজনার (Ujjala Yojna) নাম বদলে ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) নামে করার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। কংগ্রেস (Congress) শাসিত রাজস্থানে (Rajasthan) এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা’র নাম বদলে রাখা হবে ‘ইন্দিরা গান্ধী গ্যাস সাবসিডি স্কিম’ (Indira Gandhi Subsidy Scheme)। হ্যাঁ, এমনই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে গেহলট সরকার। তবে গেহলটের এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। বিজেপির (BJP) দাবি, কংগ্রেস রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে এমন কাজে মেতে উঠেছে। তবে এতে কংগ্রেসের লাভের লাভ কিছুই হবে না। কংগ্রেস যে তিমিরে পড়ে রয়েছে সেই তিমিরেই পড়ে থাকবে। তবে বিজেপির কোনও যুক্তিকেই গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। তবে এই প্রকল্পের নাম বদলকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের লাগাতার হেনস্থার মুখে সবচেয়ে বেশি পড়তে হয়েছে বাংলাকে। একাধিক মিথ্যা অভিযোগে বাংলাকে বদনামের চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। তবে বাংলার প্রতি এমন বঞ্চনা হলেও বিজেপি রাজস্থানের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প উজ্জ্বলা যোজনায় নথিভুক্ত সমস্ত পরিবার বছরে মোট ১২টি করে গ্যাস সিলিন্ডার পান। প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম পড়ে ৫০০ টাকা। বাকি টাকা ভর্তুকি দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু গেহলট সরকারের আচমকা এমন নামবদলে একেবারেই খুশি নয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রের উন্নয়ন যজ্ঞে এভাবেই সামিল হতে চাইছে দেউলিয়া কংগ্রেস। তবে বিজেপির কোনও আপত্তিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না হাত শিবির।

এদিকে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচারিয়া (Pratap Sing Khacharia) বলেন, ইন্দিরা গান্ধী সিলিন্ডারের সাবসিডি প্রকল্প গরিব মানুষের সুবিধার জন্য। ইতিমধ্যে কেন্দ্র উজ্জ্বলা প্রকল্পে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কংগ্রেস যখন দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিল তখন সিলিন্ডারের দাম ছিল ৪০০ টাকা, আর বর্তমানে ১,১৫০ টাকা। আমরা সেটাই ৫০০ টাকায় দিচ্ছি। কেন্দ্র তা দিতে রাজি হলে আমরা হাতজোড় করে তাদের ধন্যবাদ জানাব। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, মানুষ যদি উপকৃত হন, তাহলে বাধা কোথায়? তবে শুধু গেহলটই নন, এর আগেও বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje Sindhiya) সরকারও রাজীব গান্ধী সেবাকেন্দ্রের নাম বদলে অটল সেবাকেন্দ্র করে দিয়েছিলেন। সেই নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি।

 

 

 

Previous articleগুণমানের বিচারে ফেল ৪৮টি নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ!
Next articleবন্যা নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের!