“সমলি.ঙ্গের প্রতিনিধিত্ব ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ”! কেন্দ্রের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা প্রধান বিচারপতির

বিচারপতি চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দেন, সমলিঙ্গের প্রতিনিধিত্ব ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ ছিল। অন্যদিকে, ভারতীয় সংস্কৃতির অসাধারণ গ্রহণক্ষমতা সম্পর্কেও অবহিত করে তিনি জানান, ব্রিটিশদের দ্বারা ভিক্টোরিয়ান নীতি আমাদের সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে

ভারতীয় সংস্কৃতির (Indian Culture) অসাধারণ গ্রহণক্ষমতা রয়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice DY Chandrachud)। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, যদিও ব্রিটিশ ভিক্টোরিয়ার নীতির বোঝা আমাদের উপর চেপে রয়েছে। আর সেকারণেই সমকামী মানুষদের প্রতি আমাদের এমন মনোভাব।

উল্লেখ্য, সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতির দাবিতে পিটিশনের শুনানি চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি চলছে। তবে প্রথম থেকেই কেন্দ্র সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করেছে। এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়টি পুরোপুরিভাবে সংসদের উপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। তবে শুক্রবার আদালতে সমলিঙ্গ বিবাহের সওয়াল জবাবের সময় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) দাবি করেন, ভারতে সমলিঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে আন্দোলনের শুরু হয় ২০০২ সালে। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেই ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে ওই কথা বলেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

এদিন পিটিশনারদের আইনজীবীর সওয়ালের পর সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতির দাবিতে দায়ের হওয়া মামলায় কেন্দ্রের স্বপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন সলিসিটর জেনারেল। আর এদিন তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি এদিন বিচারপতি চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দেন, সমলিঙ্গের প্রতিনিধিত্ব ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ ছিল। অন্যদিকে, ভারতীয় সংস্কৃতির অসাধারণ গ্রহণক্ষমতা সম্পর্কেও অবহিত করে তিনি জানান, ব্রিটিশদের দ্বারা ভিক্টোরিয়ান নীতি আমাদের সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সমকামকে অপরাধের তালিকায় যোগ করেছে। এরপরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেলকে বলেন, আপনি প্রাচীন ভারতের মন্দিরে যান, সেখানকার স্থাপত্যে দেখুন। কখনও তো আপনি বলেন না এটা অশ্লীল। এটা আমাদের সংস্কৃতির গভীরতা তুলে ধরে। কিন্তু ১৯৫৭ সাল ও তার পরবর্তী আমরা যে ভারতীয় দণ্ডবিধি পেয়েছি তাতে ব্রিটিশ ভিক্টোরিয়ান নীতিবোধ চেপে গিয়েছে আমাদের সংস্কৃতিতে। যা একটি সম্পূর্ণ অন্য সংস্কৃতি। আমাদের সংস্কৃতির অসাধারণ গ্রহণক্ষমতা।

 

 

Previous articleবিজেপি নেতাদের সঙ্গে একমঞ্চে গৌতম আদানি! প্রকাশ্যে আঁতাতের ছবি
Next articleউইকেন্ডে স্বস্তি! সামান্য হলেও নিম্নমুখী কো.ভিড গ্রাফ