হাওড়ার আমতার (Amta) মুক্তিরচক (Muktirchak) গণধর্ষণ মামলায় এবার ৮ আসামিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আমতা আদালত (Amta Court)। শনিবার অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন দোষী বরুণ মাখাল, বংশী গায়েন, নব গায়েন, সৈকত মণ্ডল, সুকান্ত পাত্র, গৌতম মাখাল, গৌরহরি মাখাল ও শঙ্কর মাখালকে আমতা আদালতের বিচারক রোহন সিনহা এমনই সাজা শুনিয়েছেন। অন্যদিকে, জগৎ মণ্ডল ও রঞ্জিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ না মেলায় তাঁদের আগেই নির্দোষ ঘোষণা করে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আমতার মুক্তিরচক গ্রামে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই এক গৃহবধূ, তাঁর জেঠি শ্বাশুড়িকে গণধর্ষণ করে এই ৮ জন। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯ (অবৈধ জমায়েত), ৩২৩ (শারিরীক নিগ্রহ, মারধর), ৪৫০ (বেআইনিভাবে প্রবেশ) ও ৩৭৬ ডি দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় মোট ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে গণধর্ষণের ঘটনার ৮৭ দিন পর চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ধর্ষিতাদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমতা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এরপর ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে আমতা আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সে দিন রাত ১২টা নাগাদ দোষীরা মুক্তিরচকের ওই বাড়ির পাঁচিলের দরজা ভেঙে ঢোকে। সেই সময়ে ওই পরিবারের কোনও পুরুষ বাড়িতে ছিলেন না। আর সেই সুযোগেই বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ ও তাঁর শাশুড়িকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এলাকার লোকেরা আওয়াজ পেলেও ভয়ে কেউ বের হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই তৎকালীন আমতার সিআই শুভাশিস চক্রবর্তীকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।