ইতিমধ্যেই জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজি হয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে এরই মধ্যে আবারও বিতর্ক। গত রবিবার থেকে যন্তর মন্তরে জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংকে গ্রেফতার করার দাবিতে এবং ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেই রিপোর্টও সকলের সামনে প্রকাশ করার দাবিতে ধর্না শুরু করেন কুস্তিগির বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাটরা। আর এবার সেই যন্তর মন্তরে দিল্লি পুলিশ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বলে এমনটাই অভিযোগ আনল বজরং পুনিয়া।
এই নিয়ে তিনি বলেন” দিল্লি পুলিশ যন্তর মন্তরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। চারিদিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। খাবার, জল ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ”
এর পাশাপাশি তিনি আরও বজরং পুনিয়া আরও বলেন,” এভাবে আমাদের থামানো যাবে না। আন্দোলন আরও বাড়বে। ব্রিজভুষণ শরন সিং গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।”
এদিকে শনিবার আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বেশ কিছুক্ষন বিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিকদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। এরপর এই নিয়ে সাংবাদিকদের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন,”এই কুস্তিগিররা যখন পদক জেতেন, তখন আমরাই গর্বিত হই, টুইট করি। আজ ওরা রাস্তায় এসে নেমেছে। সুবিচার পাচ্ছে না। সাফল্য পাওয়ার জন্য সমস্ত মহিলা কুস্তিগিরদের প্রচণ্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে।”
এর সঙ্গেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন,” গোটা দেশ ওদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কুস্তিগিররা যে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে, এতেই আমি গর্বিত।”
গত রবিবার থেকে যন্তর মন্তরে আবারও ধর্না শুরু করেন কুস্তিগির বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাটরা। তাদের দাবি, জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংকে গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়াও তাদের দাবি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে তদন্ত হয়েছে সেই রিপোর্টও সকলের সামনে প্রকাশ করার। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনব বিন্দ্রা, নীরজ চোপড়ারা, কপিল দেবরা।
আরও পড়ুন:Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস