রাস্তার পাশে মাছ বিক্রি করেই সংসার চলে তৃণমূলের এই পঞ্চায়েতে কর্মাধ্যক্ষর

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, নিয়ম করে প্রতিদিন ভোর হতেই আড়তে গিয়ে মাছ কেনেন। এরপর গ্রামের তেমাথায় এসে সেই মাছ বিক্রি করতে বসে পড়েন। মাছ বিক্রির সঙ্গেই বাজারের আসা মানুষের সঙ্গে সেরে নেন জনসংযোগ

একের পর এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তারই মাঝে অনেকের মতোই ব্যতিক্রম
তৃণমূলের টিকিটে জয়ী অণ্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হারাধন ধীবর। যিনি বর্তমানে বন ও ভূমি সংস্কার কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। বছর ৫৬-র নিসকলঙ্ক হারাধনবাবু সংসারের হাল ধরে রাখতে বছরের পর বছর রাস্তার ধারে মাছ বিক্রি করেন।

আরও পড়ুন:বিজেপি কর্মীকে খু*নের অভিযোগে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বি.ক্ষোভ!দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, নিয়ম করে প্রতিদিন ভোর হতেই আড়তে গিয়ে মাছ কেনেন। এরপর গ্রামের তেমাথায় এসে সেই মাছ বিক্রি করতে বসে পড়েন। মাছ বিক্রির সঙ্গেই বাজারের আসা মানুষের সঙ্গে সেরে নেন জনসংযোগ, শোনেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা। মাছ বিক্রির পর ব্লক থেকে পঞ্চায়েত অফিস, শুরু হয় হারাধনের ছোটাছুটি।

গ্রামবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন মাছওয়ালা জনপ্রতিনিধি হারাধন ধীবর। তিনি মনে করেন, সৎ পথে মাছ বিক্রির মধ্যে কোনও লজ্জা নেই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি-আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মা মাটির মানুষের সেবায় ব্রত থাকাই তাঁর কাজ। হারাধনবাবুর কথায়, “৩০ থেকে ৩৫ বছর আমি মাছ বিক্রি করছি। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই আড়তে মাছ আনতে যাই। মাছ এনে ব্যবসা করার পর স্নান খাওয়া সেরে আমি অফিসে চলে যাই। সেখান থেকে বাড়িতে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করি। অনেকেই তাদের সমস্যা নিয়ে আসেন। সমাধান করার চেষ্টা করি।”


১৯৯৮ সালে মমতা বন্দোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর থেকেই পার্টি কর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছেন হারাধন ধীবর। একজন সৎ-নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে ২০১৮ ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়ের পর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদ পান। কিন্তু সংসার চালাতে এখন রাস্তায় বসে মাছ বিক্রি করেন।

 

 

Previous articleমঙ্গলে দক্ষিণ দিনাজপুরে জনসংযোগ অভিষেকের
Next articleসাতসকালেই রেললাইনে ফাটল! বাতিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক লোকাল ট্রেন