নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ! শাহের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে কেন্দ্রের প্রাক্তন সচিব

আচরণ বিধিতে বলা আছে, কোনো দল বা প্রার্থী এমন কোনো কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারবে না যা পারস্পরিক ঘৃণা সৃষ্টি করতে পারে বা বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বা ভাষাগত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) রাজীব কুমার (Rajeev Kumar) ও দুই নির্বাচন কমিশনার এসি পান্ডে (AC Pandey) ও অরুন গোয়েলকে (Arun Goyal) চিঠি লিখে ভারত সরকারের প্রাক্তন সচিব ইএএস শর্মা (EAS Sharma) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর (Amit Shah) বিরুদ্ধে এবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের (Violation of Election Code of Conduct) অভিযোগ আনলেন। তিনি জানান, সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্নাটকে নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, যদি কর্ণাটকে কংগ্রেস নির্বাচিত হয়, রাজ্যে ‘পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি’ সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে এবং এই রাজ্য ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত’ হবে। তবে অমিত শাহের বিবৃতি যদি সঠিকভাবে রিপোর্ট করা হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। আর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

আচরণ বিধিতে বলা আছে, কোনো দল বা প্রার্থী এমন কোনো কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারবে না যা পারস্পরিক ঘৃণা সৃষ্টি করতে পারে বা বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বা ভাষাগত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও জানান, অমিত শাহের বিবৃতিটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করছেন। অবসরপ্রাপ্ত সচিব আরও লেখেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও মনে করে, নির্বাচন কমিশন কর্ণাটকের নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আগে থেকেই অমিত শাহ বা বিজেপি এমন বিবৃতি দিয়েছেন যা ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে ভোটারদের মেরুকরণের চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর অমিত শাহের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে সেই প্রেক্ষাপটেই বিচার করা উচিত।

ইএস শর্মার আরও অভিযোগ, অমিত শাহের এমন বিবৃতি এই প্রথম নয়। এর আগে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও, তিনি একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছিলেন। তখনও (গত বছরের ২৬ এবং ২৮ নভেম্বর) চিঠি লিখে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর করার ব্যবস্থাগ্রহণের কথা বলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এরপরই তিনি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে অর্পিত কর্তৃত্ব হিসাবে কমিশনকে উপরোক্ত বিষয়গুলি নোট করার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা বজায় রাখার স্বার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

 

 

Previous articleবিশ্ব তালিকায় ১৬১, প্রেস ফ্রিডম সূচকে আরও নিচে নামল ‘মোদির ভারত’
Next articleডা.ইনি অপ.বাদে খু.ন: দো.ষীর ফাঁ.সির আদেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত