ম.দ ছাড়া চলে না! স্ত্রীকে ছাড়লেন নোবেল

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৫ই নভেম্বর ভালোবেসে মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি তাঁদের।

খায়রুল আলম, ঢাকা

ঘর ছেড়েছিলেন আগেই। ক্রমশ বাড়ছিল দূরত্ব। তবুও কাগজে কলমে স্বামী-স্ত্রী ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী নোবেল (Nobel Man) ও সালসাবিল আহমেদ (Salsabil Ahmed)। তবে এবার পাকাপাকিভাবে নোবেলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন সালসাবিল। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মাধ্যমে (Social media) পোস্ট করে সালসাবিল ঘোষণা করেন, পারিবারিক সিদ্ধান্তের কারণেই নোবেলের সঙ্গে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে এদিন ডিভোর্সের কারণ হিসাবে সালসাবিল স্পষ্ট করেন নোবেলের মাদকের প্রতি আসক্তির জেরেই এমন সিদ্ধান্ত।

তবে কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতেছিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ঘটনা। যদিও দীর্ঘদিন ধরে আলাদাই ছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে নোবেলকে মাদক ছেড়ে ফিরে আসারও সুযোগ দিয়েছিলেন সালসাবিল। কিন্তু তা আর না হওয়াতে, অবশেষে নোবেলকে সরকারিভাবে ডিভোর্স দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুক পোস্টে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা করেন সালসাবিল। পাশাপাশি তিনি একাধিক মানুষের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। সালসাবিল লেখেন, বিষয়টি আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর সেকারণেই ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম এবং সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমি বিষয়টি আগে ক্লিয়ার করিনি। তবে সুযোগ দিলেও নোবেল ফিরে আসেননি জানিয়ে সালসাবিল আরও লেখেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাঁকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসার জন্য প্রশ্ন করি। তবে নোবেল পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনও মাদক ছাড়বে না। এরপরই পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৫ই নভেম্বর ভালোবেসে মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি তাঁদের। নোবেল মানসিকভাবে অসুস্থ, মাদক ও নারীর নেশায় আসক্ত এমন অভিযোগ এনেছিলেন সালসাবিল। দীর্ঘদিন আলাদাই থাকেন দুজনে। অবশেষে খাতায়-কলমে আলাদা হলেন তাঁরা। তবে এদিন শুরু বিচ্ছেদের কথাই নয়, প্রাক্তনকে শুভকামনা জানিয়ে এদিন সালসাবিল অভিযোগের আঙুল তোলেন ক্ষমতাশালীদের দিকে। ফেসবুক পোস্টে নোবেলের স্ত্রী জানান, আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এত অসুস্থ ছিলো না। পাশাপাশি সালসাবিল জানান, এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্যও শুধু একা দায়ী। তাঁর মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। তালিকায় রয়েছে সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী। যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি। প্রয়োজনে তাঁদের নামও সামনে আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।


 

Previous articleস্ত্রীর যৌ.নাঙ্গ পু.ড়িয়ে ধ.র্ষণের অভি.যোগ স্বামীর বি.রুদ্ধে! নৃ.শংসতায় শি.উরে উঠল নেটপাড়া
Next articleমে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই শিক্ষক নিয়োগ শুরু রাজ্যে!