শাস্ত্রীয় সঙ্গীত (Classical Music) শিল্পী বলেই কি তাঁর ট্যাটু করার কোনও অধিকার নেই? পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর (Ajay Chakraborty) মেয়ে কৌশিকী চক্রবর্তীকে (Kausiki Chakraborty) যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করা হচ্ছে তাতে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেই মত শিল্পী মহলের একাংশের। নিজের ইচ্ছে মতো বাঁচার অধিকার সকলের আছে। তাহলে এক জীবনে ইচ্ছে পূরণের শখ থাকা কি অপরাধ? দেশের নতুন প্রজন্মের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে প্রথম সারিতে নাম বাংলার মেয়েটার। মিষ্টি স্বভাবের গায়িকা শাস্ত্রীয় ঘরানাকে সঙ্গে নিয়েই আধুনিক প্রজন্মকে তাঁর গানের অনুরাগী করে তুলেছেন। সেই গায়িকার একটি পোস্ট ঘিরে সরব নেট দুনিয়া। যেখানে দেখা যায় তিনি হাতে ট্যাটু করিয়েছেন।কৌশিকী ক্যাপশনে লিখেছেন, “গ্রেস আর মিউজ়িক, আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই স্তম্ভ। এই দুই স্তম্ভকে আমি যতটা শ্রদ্ধা করি, ততটাই এগুলোর জন্য নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করি। সেই কৃতজ্ঞতার বার্তা থেকেই এই ট্যাটু।”
View this post on Instagram
এরপর থেকেই সরব নেট দুনিয়ার একাংশ । বস্তাপচা মধ্যযুগীয় ধারণাকে তুলে ধরে কটাক্ষ করা হচ্ছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তীকে। যেহেতু তিনি একটি অন্য ঘরানার মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত তাই নাকি এসব তাঁকে মানায় না। অনেকে প্রশ্নও তুলছেন তাঁর এই ইচ্ছে পূরণের খেয়াল নিয়ে। তাঁদের দাবি, ‘ট্যাটু’ বিষয়টার সঙ্গে নাকি শাস্ত্রীয়সঙ্গীত শিল্পীর ভাবমূর্তি যায় না। খেলোয়াড় কিংবা ফিল্মি জগতের মানুষের সঙ্গে নাকি ট্যাটু কনসেপ্ট যায় না। এরপরই বেজায় চটেছেন গায়িকার অনুরাগীরা। কৌশিকীর এই সাহসী পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁরা। শিল্পী সমাজমাধ্যমের পাতায় ছবি পোস্ট করতেই তাঁকে বাহবা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয় শ্রোতারা। গতে বাঁধা ‘ট্রেন্ড’ থেকে বেরিয়ে যে নিজের স্বপ্নপূরণ করেছেন কৌশিকী। তাই অযথা তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে কৌশিকীই প্রথম নন, দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পী টিএম কৃষ্ণও ট্যাটু করিয়েছেন।