অ.গ্নিগর্ভ মণিপুর! ম.র্মান্তিক পরিণতি আয়কর কর্মীর, গু.লিবিদ্ধ হয়ে মৃ.ত CRPF জওয়ান

অন্যদিকে, শনিবার ইম্ফলের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। সকালে খোলে দোকানপাটও। তবে রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে সেনা জওয়ান। এরই মধ্যে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিগত দিনগুলির হিংসায় রাজ্যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত কয়েক দিন ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সেনা নামিয়ে এবং দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশের পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল পরিস্থিতি। তবে এবার এক আয়কর দফতরের আধিকারিককে (Income Tax Officer) বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে ৷ আর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল মণিপুরে। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে থাকা ২৭ বছর বয়সি এক সিআরপিএফ জওয়ানের (CRPF Jawan)৷

এদিকে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস তথা আইআরএস (IRS) সূত্রে খবর, এদিন ইম্ফলে (Imphal) তাদের কর্মী লেটমিনথাং হাউকিপকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত দু’দিন ধরেই ভয়াবহ হিংসার সাক্ষী হয়েছে মণিপুর। সম্পত্তি নষ্টের পাশাপাশি ঘটেছ মৃত্যুর ঘটনাও। বৃহস্পতিবারই দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয় সেনা ও আধা সেনা। ইতিমধ্যে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনেককে। যদিও সেনা ও পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, শনিবার ইম্ফলের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। সকালে খোলে দোকানপাটও। তবে রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে সেনা জওয়ান। এরই মধ্যে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিগত দিনগুলির হিংসায় রাজ্যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয় চূড়াচাঁদপুর জেলায় এবং ১৫ জনের মৃত্যু পূর্ব ইম্ফল জেলায়। পশ্চিম ইম্ফলে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।

এদিকে শুক্রবারই চূড়াচাঁদপুর জেলায় একটি পুলিশ স্টেশনে বিচ্ছিনতাবাদীদের হামলা হয়। এনকাউন্টারে চার বন্দুকবাজকে খতম করে পুলিশ। এদিকে টোরবুঙেও বিচ্ছিনতাবাদীর হামলা হয় নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর। সেখানে এক বন্দুকবাজকে খতম করেন জওয়ানরা। গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে ইম্ফল পূর্ব এবং পশ্চিম জেলাগুলি বিক্ষিপ্তভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে অবরোধেরও চেষ্টা দেখা গিয়েছে। তবে সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। উল্লেখ্য, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মৈটেই জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছে যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

 

 

 

Previous articleমেগা পাওয়ার ব্লকের কারণে শনিবার থেকেই মেট্রো দুর্ভোগ শুরু!
Next articleজ্বলছে মণিপুর অথচ মোদি ব্যস্ত সিনেমার প্রচারে! তোপ ওয়েইসির