অতিভক্তি চোরের লক্ষণ”, লেনিন থেকে এসপ্ল্যানেড, শুভেন্দুর “নাম-ইতিহাস বদল” রাজনীতিকে কটাক্ষ কুণালের

লেনিনের সঙ্গে তৃণমূলের নীতিগত বিরোধ থাকলেও তাঁর আদর্শের প্রভাব বিশ্বজুড়ে। তাঁর আন্দোলন, তাঁর নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে কোথাও লেনিন সরণি থাকলে, ধর্মের নামে সেটাকেও বদলে ফেলাটা অযৌক্তিক

অতিভক্তি চোরের লক্ষণ! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্য যেন এই বিশেষণ প্রযোজ্য। উত্তরপ্রদেশ সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মতো এবার বাংলাতেও ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলির নামবদলের রাজনীতির অপচেষ্টা গেরুয়া শিবিরের। শহর কলকাতার হৃদপিন্ড ধর্মতলা চত্বরের দুটি ঐতিহ্যপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ রাস্তার নাম বদলের দাবিকে সমর্থন জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নামও বদলে ফেলার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু।

এখন ধর্মতলায় বঙ্গ-কুম্ভ মেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সমাবেশে ধর্ম ঠাকুরের পুজো চলছে। আজ, শনিবার সেখানে রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে গিয়েই এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন, মৌলালি থেকে ধর্মতলাগামী লেনিন সরণির নাম পরিবর্তন করে ধর্মতলা রোড করা, চৌরঙ্গী থেকে শহিদ মিনারগামী মেয়ো রোডের নাম পরিবর্তন করে ধর্মরাজ সরণি করা এবং ধর্মতলায় নিয়মিত ধর্ম পুজোর ব্যবস্থা করার উদ্যোগ্যে সমর্থন করেন শুভেন্দু। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে শুভেন্দু এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্ট্রেশনের নামকরণের বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিন শুভেন্দু বলেন, “বাংলায় যোগী আদিত্যনাথের মতো জাতীয়তাবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে লেনিন সরণির নাম ধর্মতলা রোড এবং মেয়ো রোডের নাম ধর্মরাজ সরণি করা হবে।” অর্থাৎ শুভেন্দু চাইছেন, উত্তরপ্রদেশের মতো নাম বদলের রাজনীতি চালু করতে চান শুভেন্দু।

শুভেন্দুর এমন মনোভাবের তীব্র বিরোধিতা করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এই নামবদল বিজেপির জিনগত সমস্যা। আর শুভেন্দুর তো মানসিক সমস্যা আছেই। যা কিছু একটা বলে দিলেই হল। সব জায়গার একটা ঐতিহ্য থাকে।”

তাঁর আরও সংযোজন, লেনিনের সঙ্গে তৃণমূলের নীতিগত বিরোধ থাকলেও তাঁর আদর্শের প্রভাব বিশ্বজুড়ে। তাঁর আন্দোলন, তাঁর নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে কোথাও লেনিন সরণি থাকলে, ধর্মের নামে সেটাকেও বদলে ফেলাটা অযৌক্তিক। কুণালের কথায়, “সব কিছুকেই ওরা সংকীর্ণ ধর্মীয় মনোভাব থেকে দেখে। আর অতিভক্তি চোরের লক্ষণ। ও দলবদলু, ইডি-সিবিআইয়ের এফআইরে নাম আছে, প্রতিষ্ঠিত চোর। বিজেপির গুডবুকে থাকতে যা খুশি বলছে। এটাই চোরের লক্ষণ।”

আরও পড়ুন- রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকে দার্জিলিং চা! নজর কাড়ল আর কোন কোন জিনিস?

 

Previous articleরাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকে দার্জিলিং চা! নজর কাড়ল আর কোন কোন জিনিস?
Next articleঅ্যাপ ক্যাব রাজ্যের গাইডলাইন না মানলে কড়া শাস্তি, চালু হবে সরকারি পরিষেবাও: স্নেহাশিস