নিয়োগ দু.র্নীতিকাণ্ডে শান্তনু-অয়ন সহ মোট ৭ অ.ভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা ইডির  

ইডি সূত্রে জানানো হয়, শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। পাশাপাশি শান্তনুর বয়ানে একাধিক ‘অসঙ্গতি’ খুঁজে পাওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত অয়ন শীলের (Ayan Seal) বিরুদ্ধে এবার আদালতে চার্জশিট (Charge sheet) জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। গত ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল হুগলির বলাগড়ের শান্তনুকে এবং তার ১০দিন পর অর্থাৎ ২০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল। সোমবার আলিপুরের নগর দায়রা আদালতে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মোট সাত জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মোট ১১৩ পাতার চার্জশিট (Chargesheet) পেশ করেছে ইডি। পাশাপাশি এই মামলার সাক্ষী হিসাবে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। ইডির অভিযোগ, অয়নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ ও তার নামে ২২ লক্ষ টাকা শেয়ার মিলেছে। এছাড়া ৬৪ লক্ষের গাড়িও মিলেছে। পাশাপাশি চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে শান্তনুর দুটো কোম্পানির নামে টাকা পাচার করা হতো। প্রায় ৪৫ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে জানানো হয়, শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। পাশাপাশি শান্তনুর বয়ানে একাধিক ‘অসঙ্গতি’ খুঁজে পাওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। সেইসঙ্গে ২৬ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকাও শান্তনুকে দেওয়া হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। ওই তালিকাভুক্ত ২৬ জনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে শান্তনুকে প্রায় ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে এদিন আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।

অন্যদিকে, অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি অয়নের অফিসে থাকা কয়েকটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক পরীক্ষা করে দেখা যায়, রাজ্যের একাধিক পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি রয়েছে সেই কম্পিউটারে এবং কিছু ফোল্ডারে রয়েছে চাকরিপ্রার্থী এবং প্রাপকদের নামও। এছাড়া ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত হাতে লেখা কিছু নোটও তাঁদের হাতে এসেছে। আর যা থেকেই স্পষ্ট, শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শান্তনু এবং তাঁর সহযোগীরা। শান্তনুর গ্রেফতারির ৫৯ দিন এবং অয়নের গ্রেফতারির ৪৯ দিন পর চার্জশিট পেশ করল ইডি।

 

 

 

Previous articleসেনায় ফের নারীশক্তির জয়গান: LOC-তে এবার মহিলা অফিসার নিয়োগে সিলমোহর
Next article‘মোকা’ মোকাবিলায় নজর প্রশাসনের, অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর