প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে বিকাশ

কিন্তু যারা চাকরি পেয়েছেন, তারা এতে কীভাবে যুক্ত? সে বিষয়ে আপনার কাছে কী প্রমাণ রয়েছে? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর বিকাশ ভট্টাচার্য দিতে পারেন নি।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সামনে দাঁড় করালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধুলিয়া। তার প্রশ্ন, আপনি বারবার দুর্নীতি, দুর্নীতি বলে উল্লেখ করছেন। কিন্তু যারা চাকরি পেয়েছেন, তারা এতে কীভাবে যুক্ত? সে বিষয়ে আপনার কাছে কী প্রমাণ রয়েছে? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর বিকাশ ভট্টাচার্য দিতে পারেন নি।

বরং বিকাশ এদিন আদালতে বলেছেন, ৪০ হাজার নিয়োগ নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। ২৬৯ জনকে এক নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সবাইকে নতুন করে নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। কিন্তু বাস্তব হল, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য সমস্ত চাকরিপ্রার্থীকে ৬ নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে চাকরি হারানো এই ২৬৯ জনও চাকরি পাওয়ার অধিকারী। সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি ধুলিয়া বিকাশবাবুর কাছে জানতে চান, এরা যখন ফের চাকরিই পাবেন তাহলে পাঁচ বছর ধরে চাকরি করার পরে এদের কেন ‘ডিসকন্টিনিউ’ করা হবে! কর্মচ্যুতদের বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ধোপে টেকাতে পারেননি বিকাশ। আদালতে মূলত এই দু’দিন ধরে সিবিআই রিপোর্ট ও পর্ষদের হলফনামা পড়া হয়েছে।
সিবিআই যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে লেনদেনের বিষয়য়টি উল্লেখ নেই। চাকরি হারানো ২৬৯ জন যে ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, উল্লেখ নেই। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে শুনানিতে এই বিষয়টিই ফের উঠে আসে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেও এদিন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বসু ও বিচারপতি ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তর সামনে কয়েকটি প্রশ্ন রাখেন। বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, ৪২ হাজার পদ খালি ছিল। পর্ষদ চল্লিশ হাজার জনের নাম কেন পাঠিয়েছিল? বাকি দু’হাজারের নাম কেন পাঠায়নি? পর্ষদ তো নিয়োগকর্তা নয়। নিয়োগ কর্তা তো রাজ্য সরকার। কেন ৪২ হাজারের নামের তালিকা দেওয়া হয়নি? কেন দু’হাজার পদ খালি রাখা হয়েছিল? এক নম্বর করে অতিরিক্ত দেওয়া হয়েছে। সেই ২৬৯ জনকে বাছা হয়েছিল কীভাবে? পর্ষদ কীসের ভিত্তিতে এসএমএস পাঠিয়েছিল, সে সম্পর্কিত কাগজপত্র জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। ওএমআর শিট পর্ষদ কেন নষ্ট করেছিল, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।

 

Previous articleসরকার ভেঙে ফের নির্বাচন করুন: শিন্ডেদের বার্তা উদ্ধবের, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
Next articleSaraf House: অ.গ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘন্টা পরেও সার্ভার রুম থেকে উদ্ধার মৃ.তদেহ!