কংগ্রেস নাকি বিজেপি, কর্নাটকে ত্রিশঙ্কু ফল হলে কার সঙ্গে হাত মেলাবে দেবেগৌড়ার দল?

কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের পর বুথফেরত সমীক্ষাগুলির যে ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে, তার অধিকাংশই ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাস দিয়েছে। আর সেই ত্রিশঙ্কুর পূর্বাভাসে ফের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল জনতা দল (সেকুলার) বা জেডিএসের ভূমিকা। এই পরিস্থিতিতে দেবগৌড়ার দল জানিয়েছে, সম্ভাব্য ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় তাঁরা কী করবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁদের দল।

আরও পড়ুন:পুর নিয়োগ দু.র্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল বিচারপতি সিনহার

শনিবার (১৩ মে) কর্নাটকের ভোট গণনার দিন। দুপুরের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে রাজ্যে আগামী পাঁচবছরের জন্য কারা সরকার গড়বে? অধিকাংশ নির্বাচনী ভোট সমীক্ষা বলছে, ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবারের ফলাফলও ত্রিশঙ্কু হবে।সেবারে অনেক কম শক্তি থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়ার ছেলে কুমারস্বামী। এবারেও কি তিনি তেমন কোনও পরিকল্পনা করে রেখেছেন? জেডিএস সূত্রের দাবি, কুমারস্বামী (HD Kumarswamy) এখন বেঙ্গালুরুতে নেই। তিনি চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন বিদেশে। কিন্তু, তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিজেপি এবং কংগ্রেস, দু’দলের তরফেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। জেডিএসের বর্ষীয়ান নেতা তানবীর আহমেদের দাবি, “দুটি সর্বভারতীয় দলই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলেছি কাকে সমর্থন করা হবে। তবে সেটা জানানো হবে সঠিক সময়েই।”
প্রসঙ্গত, এ বারের বিধানসভা ভোটে কর্নাটকের ২২৪টি আসনের মধ্যে ২১২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে জেডিএস। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে দেবগৌড়ার দলের লক্ষ্য হল, নাগামঙ্গল, রামনগর, হাসান, মান্ডিয়া, মাইসুরু, টুমকুরের মতো ভোক্কালিগা অধ্যুষিত জেলাগুলি থেকে অন্তত ৩০টি আসন সংগ্রহ করে সম্ভাব্য ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় ‘কিংমেকার’ হওয়া। কয়েকেটি বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দেবগৌড়ার দলের লক্ষ্যপূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কংগ্রেস এবং বিজেপির তুমুল লড়াইয়ের মধ্যেই দক্ষিণ কর্নাটকের ‘পুরনো মাইসুরু’ এলাকায় নিজের ভোক্কালিগা জনগোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই অক্ষত রাখতে পারবেন তিনি।

 

Previous articleপুর নিয়োগ দু.র্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল বিচারপতি সিনহার
Next articleএখনই অন্তরবর্তী নির্দেশ নয়: অভিষেক মামলায় জানালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা