কার দখলে কর্ণাটক? শুরু ভোট গণনা

তবে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বলেই অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত। তার মধ্যে কয়েকটিতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এ বার সেখানে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গঠিত হতে চলেছে।

কর্ণাটকের (Karnataka) কুর্সিতে বসবে কোন দল! কার হাতে যাবে রাজ্যের রাশ? ক্ষমতাসীন বিজেপি (BJP) নাকি কংগ্রেস (Congress)! আজই তার ফলাফল জানা যাবে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা পর্ব। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Assembly Election) ফলাফল গণনা নিয়ে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। বিজেপি (BJP) বনাম কংগ্রেসের (Congress) এই ভোট যুদ্ধে কে কাকে টেক্কা দেবে সেই ফলাফলের দিকে চেয়ে রয়েছে গোটা দেশবাসী। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে ট্রেন্ড। ফলাফলের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে কর্ণাটকে বাজিমাত করতে চলেছে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ২২৪ আসনের মধ্যে ২১৮ আসনের ফলাফলের ট্রেন্ড সামনে এসেছে। যেখানে সাফ দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস এগিয়ে ১০৭ আসনে, বিজেপি এগিয়ে ৮০ আসনে, জেডিএস ৩১ আসনে এবং অন্যান্যরা এগিয়ে রয়েছে ৩টি আসনে। তবে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বলেই অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত। তার মধ্যে কয়েকটিতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এ বার সেখানে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গঠিত হতে চলেছে।

২২৪টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়ী হবে বিজেপি, নিজেদের জয় নিয়ে একেবারে নিশ্চিত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন বিজেপিকে সরিয়ে কর্ণাটকের কুর্সি কংগ্রেসের দখলে আসছে বলেই দাবি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের। কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির রাস্তা প্রশস্ত হবে বলেই আশ্বাস কংগ্রেসের। ভোট গণনা পর্বের আগে থেকেই দুই দল নিজেদের নেতাদের নিয়ে একের পর এক জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে ২২৪টি আসনে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজ শনিবার সেই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন। মোট প্রার্থী ছিলেন ২৬১৩ জন। তার মধ্যে ২৪২৭ হন পুরুষ, মহিলা প্রার্থী ১৮৪ জন ও দুজন অন্যান্য প্রার্থী ছিলেন। এদিকে মোট ২২৪ আসনের মধ্যে সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ২২৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। ২০৭ আসনে জেডিএস, ২০৯ আসনে আম আদমি পার্টি, বিএসপি ১৩৩ আসনে এবং সিপিএম ৪ এবং জেডিইউ ৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। নির্দল হিসাবে ৯১৮ জন ভোটে লড়ছেন। ভোট গণনার আগে গোটা রাজ্যকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।

অতীতে তিনবার রাজ্যে কিং-মেকারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে জেডিএস-কে। দু’বার কংগ্রেস, একবার বিজেপির সঙ্গে থেকে সরকার তৈরিতে সাহায্য করেছে তারা। মুখ্যমন্ত্রীর পদও লাভ করেছেন কুমারস্বামী। ফল প্রকাশের আগেই কুমারস্বামী দাবি করেছেন, কংগ্রেস-বিজেপি দু’পক্ষই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

 

 

Previous articleটুইটারের নতুন CEO-কে? টুইটেই নাম ঘোষণা মাস্কের!
Next articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস