সুজয়-পার্থর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই

প্রথমে গোপাল দলপতি, পরে তাপস মণ্ডল – দু’জনেই বলেছিলেন সুজয় ভদ্রের কথা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মেডিক্যাল টেস্ট করাতে যাওয়ার সময়ে তাপস জানিয়েছিলেন, ‘কাকু’র নাম সুজয় ভদ্র। তার ২৪ ঘণ্টা বাদে প্রকাশ্যে এসেছিলেন বেহালা-নিবাসী সেই সুজয়। এবার ইডির নজরে সুজয় ভদ্রের মেবাইল ফোন।সুজয় জানান,এর  আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ইডি তলব করলেও তখন তাঁর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি।

কোনও তদন্তকারী সংস্থা ফের তাঁকে ডাকলে, হাজিরা দেবেন। তবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কারও কাছ থেকে তিনি টাকা নেননি বলে দাবি সুজয়ের।এর আগে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গাঙ্গুলির দাবি ছিল, নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ তাঁর কাছ থেকে টাকা চেয়ে তাগাদা দিতেন। যদিও গোপাল জানিয়েছিলেন, এই ব্যক্তির নাম তাঁর জানা নেই।

তিনি বলেন, ‘তাপস মণ্ডলকে আমি চিনি না। আমার কর্মস্থল নিউ আলিপুর। আমার নাম কেন জড়ানো হচ্ছে, কী করে বলব? যারা বলছে, তারাই এর ব্যাখ্যা দিতে পারবে। তাপস মণ্ডল তো বলেছেন যে আমাকে চেনেন না। গোপাল দলপতিও বলেছেন, চেনেন না। কুন্তল যদি বলেন, আমাকে টাকা দিয়েছেন – তখন উত্তর দেবো।

‘সুজয়ের পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমার কাছে কেন কেউ টাকা দিতে আসবে? আমি যদি চাকরি দিতে পারতাম, তা হলে আমার মেজদার মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করতাম। ওর ৪১ বছর বয়স। এমএ-বিএড পাশ, টেট দিয়েছে, চাকরি পায়নি। আমার একমাত্র মেয়ে গ্রুপ-সির জন্য এসএসসির পরীক্ষা দিয়েছে। চাকরি হয়নি।’তাঁর মন্তব্য, ‘আমার যিনি সাহেব, তাঁকে কেউ ছুঁতে পারবে না, ফোনে যোগাযোগ করতে পারবে না, কাছাকাছি যেতে পারবে না। আমার কাছে এসেই তাই থামতে হচ্ছে।’

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একটি আই ফোন-সহ ২টি মোবাইল ফোন ও ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থ সরকার ওরফে ভজার একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৩টি ফোনের তথ্য উদ্ধারের জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে কোনও তথ্য মোছা হয়েছে কি না, তা জানতে চায় সিবিআই।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিভিন্ন সময় কুন্তল ঘোষের মাধ্যমে টাকা আসত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কাছে। পরে, তা চলে যেত প্রভাবশালীদের কাছে। এছাড়াও, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে হুগলিতে একটি জমি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।এর পাশাপাশি তাঁর আর কোনও সম্পত্তি আছে কি না?এই সম্পত্তিগুলি কেনার ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ব্যবহার করা হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সূত্রের দাবি, তল্লাশির পর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ২টো মোবাইল ফোন, অ্যাডমিট কার্ড, একাধিক নথি এবং টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। CBI সূত্রে দাবি, সুজয়কৃষ্ণর ২টি ও পার্থ সরকারের একটি, মোট ৩টি মোবাইল থেকে কোনও তথ্য মোছা হয়েছে কি না জানতে চায় সিবিআই।

 

Previous articleঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে তরুণীকে ব্ল্যা.কমেল! গ্রে.ফতার দিলীপ ঘোষের “গুণধর” ভাইপো
Next articleরবিবারে গালে হাত দিয়ে কবি সুকান্ত! দেখুন তো আসল মানুষকে চিনতে পারেন কিনা